কেঁচোসার উৎপাদনে স্বাবলম্বী নাসরিন

303

পরিবেশবান্ধব কেঁচোসার উৎপাদন ও বিক্রি করে স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছেন যশোর জেলার ঝিকরগাছার নাসরিন সুলতানা৷ ২০১৪ সাল থেকে কেঁচোসার বিক্রি করে নিজের পড়ালেখার পাশাপাশি অন্যান্য খরচ বহন করে চলেছেন৷ মানে উন্নত এই কেঁচোসারে যেমন কৃষকের জমির ফলন ভালো হয়, তেমনি দামেও বেশ সাশ্রয়ী৷

এদিকে চাষিরা বলছেন, কেঁচো সার ব্যবহারের ফলে উৎপাদন ভাল হচ্ছে। পাশাপাশি এই কেঁচো সারে উৎপাদিত শাক সবজির পুষ্টিমান ভাল থাকায় স্থানীয় বাজারে বেশ চাহিদা রয়েছে বলেও চাষিরা জানিয়েছেন। প্রচলিত সারের তুলনায় কেঁচো সার বেশ সাশ্রয়ী ও গুণেমানে সেরা ফলে স্থানীয় পর্যায় থেকে শুরু করে সারাদেশেই চাহিদা রয়েছে কেঁচো সারের বলে জানিয়েছেন নাসরিন।।

নাসরিন জানান, ২০১৪ সালে স্বল্প পরিসরে শুরু করলেও বর্তমানে বেশ সফলতা এসেছে। বর্তমানে প্রতি মাসে প্রায় ১৫ মন কেঁচো সার উৎপাদন হয়। স্থানীয় বাজারসহ সারাদেশে যে পরিমাণ চাহিদা সে পরিমাণ যোগান দিতে হিমসিম খেতে হচ্ছে। পাশাপাশি প্রতি কেজি কেঁচো সার পাইকারী সাড়ে ১০ তাকা দরে বিক্রি করলেও খুচরায় প্রতি কেজি ১৫ টাকা দরে বিক্রি হয় বলেও তিনি জানান।

এ প্রসঙ্গে ঝিকরগাছা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মাহবুবুল আলম রনি বলেন, ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার অত্যন্ত নিরাপদ ও সাশ্রয়ী একটি জৈব সার। এছাড়াও নাসরিনের উৎপাদিত কেঁচো সার অনেক ভাল। চাষিদের এই সার ব্যবহার করার জন্য তিনি আহ্বান জানান।

ফার্মসএন্ডফার্মার/৬মার্চ২০২১