কোয়েল পালন করে ভূরুঙ্গামারীর (কুড়িগ্রাম) অনেকেই এখন স্বাবলম্বি

1305

18a8f63542c722f877593e3da4e4f7e8

সেখ জিয়াউর রহমান, কুড়িগ্রাম থেকে: কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার প্রাণিবিজ্ঞানে মাস্টার্স ডিগ্রিধারী সেলিম হোসেন এবং স্নাতক পাশ করা ফারুক হোসেন বাবু নিজ নিজ বাড়িতে গড়ে তুলেছেন কোয়েল পাখির খামার। খামার দু’টিতে রয়েছে ২ হাজার ৮ শ’ কোয়েল। সেলিমের খামারে ২ হাজার এবং বাবুর খামারে আছে ৮ শ’ পাখি। এছাড়াও উপজেলার বিলুপ্ত সাহেবগঞ্জ ছিটমহলের বাসিন্দা আবুল কালাম, সাইদুর রহমান বাদশা ও শওকত আলী বেকারত্ব ঘোঁচাতে নিজ বাড়িতে গড়ে তুলেছেন অনুরূপ খামার। খামারগুলোর মধ্যে কালামের খামারে রয়েছে ২ হাজার, সাইদুর ও শওকত আলীর খামারে ১ হাজার করে ২ হাজার কোয়েল। পাথরডুবি ইউনিয়নের নিভৃতপল্লী দক্ষিণ পাথরডুবি ও সদ্য বিলুপ্ত সাহেবগঞ্জ ছিট মহলে গড়ে উঠা কোয়েল পাখির খামারগুলো বেকারত্বের অভিশাপ দূর করে সাবলম্বি হতে স্বপ্ন দেখাচ্ছে উদ্যমি অনেক বেকার যুবকদের। ফারুক হোসেন বাবু লেখাপড়া শেষ করে ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে লালমনিরহাট যুব উন্নয়ন কেন্দ্র হতে প্রাণিসম্পদের ওপর প্রশিক্ষণ নিয়ে গড়ে তোলেন খামার। বাবুর খামারের লাভ দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে চলতি বছরের জানুয়ায়িতে এলাকার অনেকেই এ ধরনের খামার গড়ে তোলেন। খামারের কোয়েলগুলো ইতোমধ্যে ডিম দিতে শুরু করায় খামারিদের মুখে খুশির ঝিলিক দেখা দিয়েছে। খামারিদের সাথে কথা বলে জানা যায়- কোয়েল পাখিগুলো সিরাজগঞ্জ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রতিটি কোয়েলের দাম পড়েছে ৪৫-৫০ টাকা। তারা আরো বলেন, কোয়েলের রোগবালাই তুলনামূলক কম। লিটার ও খাঁচা পদ্ধতিতে কোয়েল পালন করা যায়। একটি কয়েলের জন্য প্রতিদিন গড়ে মাত্র ২৫ গ্রাম খাবার দরকার হয়। প্রতি কোয়েল একনাগাড়ে প্রায় ১৮ মাস ডিম পাড়ে। ডিম দেয়া শুরুর আগে পাখিগুলোকে এক রকম খাবার খাওয়ানো হয়। ডিম দেয়া শুরু করলে খাবার পরিবর্তন করা হয়। প্রতি হাজার কোয়েলের জন্য মাসে খরচ প্রায় ৩০ হাজার টাকা এবং ডিম বিক্রি করা যায় কমপক্ষে ৪৫ হাজার টাকা। কোয়েলের ডিম আকারে ছোট হলেও এর পুষ্টিগুণ মুরগির ডিমের চেয়ে অনেক বেশি।