জয়পুরহাট: অত্যধিক খাদ্য গুণাগুনসমৃদ্ধ ক্যাপসিক্যাম চাষ করে সফলতা অর্জন করেছেন সদর উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল ধলাহার ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর গ্রামের কৃষক জাহিদুল ইসলাম।
সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, স্থানিয় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ’জাকস ফাউন্ডেশন’ কৃষি ইউনিটের আওতায় বাস্তবায়িত উচ্চ ফলনশীল নতুন জাতের ওই ক্যাপসিক্যাম চাষে সহযোগিতা করছে পল্লীকর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)।
শরীরে আয়রনের অভাব পূরণ, চর্বি নিঃস্বরণে ও এজমা নিরাময়ে সাহায্য করা, হার্টকে সুস্থ রাখা, চোখের স্বাস্থ্য সুরক্ষা, ক্যান্সার প্রতিরোধী, পটাশিয়াম সরবরাহ, ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ ও চুলের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ক্যাপসিক্যাম অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।
কৃষক জাহিদুল ইসলাম জানান, জাকস ফাউন্ডেশনের কৃষি ইউনিটের পরামর্শে স্বল্প সময়ের ফসল হিসাবে এ প্রথম ৮ শতাংশ জমিতে ক্যাপসিক্যাম চাষ করেছেন। ১৫ ফেব্রুয়ারি’১৯ চারা রোপণ করলেও দুই মাসের মধ্যেই ফসল তোলা সম্ভব হচ্ছে। এতে খরচ পড়েছে ৩ হাজার ৪ শ টাকার মতো। এ পর্যন্ত ক্যাপসিক্যাম বিক্রি হয়েছে ৭ হাজার টাকা।
এ ছাড়াও বর্তমানে জমিতে থাকা ক্যাপসিক্যাম আরও ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা বিক্রি হবে বলে জানান জাহিদুল। নেট দিয়ে ঘেরা ক্যাপসিক্যাম চাষে কোন প্রকার কীটনাশক ব্যবহার করা হয়নি বলেও জানান তিনি।
সাধারণ মরিচের মতো এক থেকে দেড় হাত পর পর ক্যাপসিক্যামের একেকটি চারা রোপণ করতে হয়। রোগবালাই তেমন নেই বললেই চলে। ক্যাপসিক্যামের গুণাগুণ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের ধারণা কম থাকায় বাজারে এর চাহিদা তুলনামূলক কম। তবে অনেকেই অত্যধিক খাদ্য গুণাগুন সমৃদ্ধ ওই ক্যাপসিক্যাম জমি থেকেই কিনে নিয়ে যান বলে জানান কৃষক জাহিদুল ইসলাম।
জাকস ফাউন্ডেশনের সহকারী পরিচালক খোরশেদ আলম জানান, নতুন ফসল হিসাবে ক্যাপিক্যাম চাষে সফলতায় এলাকার অনেক কৃষক এখন ক্যাপসিক্যাম চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। জাকস ফাউন্ডেশন ওই ক্যাপসিক্যাম চাষে উদ্বুদ্ধ করাসহ অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করছে। বিএসএস
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/ মোমিন