পলিথিন শেড পদ্ধতিতে শীতকালে মূলার আগাম চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার মেরুং ইউনিয়নের বেলছড়ি এলাকার মো. শাহ জালাল (২৫)।
মো. শাহ জালাল বলেন, অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করতে পেরেছিল। তারপর বেকার ঘুরছিল, মাঝে মধ্যে অন্যার জামিতে কাজ করত। বর্গা জমি নিয়ে মাঝে মধ্যে সবজি চাষ করত শাহ জালাল। সবসময় মাথায় চিন্তা ভাবনা থাকত নতুন কিছু চাষ করার।
সবজি খেতে গিয়ে দেখা যায়, সবজি চাষে পদ্ধতি জমিতে উঁচু বেড তৈরি করে, পলিথিনের চাল দিয়ে বেডে বীজ বপন করেছে। অতিবৃষ্টি থেকে চারা বাঁচানোর জন্য পলিথিনের চালা দেয়া হয়েছে। আগাম চাষের জন্য চালা দেয়া হয়েছে যাতে করে ফসলে ক্ষয়ক্ষতি কম হয়।
তিনি আরও বলেন, অনেক কষ্ট করে আগাম জাতের মূলার বীজ সংগ্রহ করে পলিথিন শেডে করে বপন করি এতে অনেক ফলন ভালো হয়েছে। ৩০ শতক জমিতে আগস্ট মাসের মাঝামাঝিতে ইউনাইটেড কোম্পানির ট্রাপিআনা জাতে মূলা বীজ বপন করি।
বপনের ৪৫ দিনের মধ্যে ফল আসতে শুরু করে প্রতি কেজি মূলা ৫০ টাকা ধরে বিক্রি করছি। ৫০ হাজার টাকার মতো মূলা বিক্রি করতে পাবর। আগাম চাষ পদ্ধতি কীভাবে শিখলেন? জবাবে তিনি বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে চুয়াডাঙ্গা উপজেলার কৃষি অফিসারের পেজ থেতে আমি এই পদ্ধতি জানতে পারি এবং চুয়াডাঙ্গা কৃষি অফিসারের সাথে যোগাযোগ করে তারপর চাষ শুরু করি। এ ছাড়াও ফসলি অ্যাপ ও ইউটিব থেকেও ভিডিও দেখে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান জানতে পেরেছি। তবে আমাদের দীঘিনালা উপজেলা কৃষি অফিস থেকে তেমন কোনো পরামর্শ পাইনি।
সবশেষে তিনি আরও বলেন, আমাদের কৃষি অফিস থেকে নতুন নতুন ফসল চাষ পদ্ধতি ও বীজ পেলে এলাকার অনেকে লোক তামাক চাষ ছেড়ে দেবে। তামাক চাষ করা ক্ষতি জেনেও চাষ করার কারণ, তামাক পাতা বেঁচার নিশ্চয়তা আছে। সবজি চাষ করলে অনেক সময় পুঁজিও উঠে না।
ফার্মসএন্ডফার্মার২৪/জেডএইচ