নওগাঁয় খোলা জলাশয়ে হাঁস পালনে স্বাবলম্বী সাজ্জাদ

681

হাস

ধীরে ধরে হাস পালন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। আত্রাই উপজেলায় বিলের খোলা জলাশয়ে হাঁস পালন করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন সাজ্জাদুল আলম। অভাবের সংসারে এসেছে সচ্ছলতা। তার এ সফলতা দেখে এলাকার অনেক বেকার যুবক বর্তমানে হাঁস পালন শুরু করেছে চাইছে। প্রাণিসম্পদ বিভাগের সহযোগিতা পেলে আরো বেশি লাভবান হওয়া সম্ভব বলে মনে করেন সাজ্জাদুল আলম।

সারিবেধে একসাথে অনেকগুলো হাস দেখতেও ভাল লাগে। বিশাল আকারের বিস্তীর্ণ রসুলপুরের মাঠ। উপজেলার শাহাগোলা ইউনিয়নের এ মাঠ এখন হাঁসের খামারে পরিণত হয়েছে। তাদের মধ্যে সাজ্জাদুল আলম এর হাঁসের খামার সবার দৃষ্টি কেড়েছে।

বর্তমানে তার খামারে হাঁসের সংখ্যা ৫০০-৬০০। সাজ্জাদুল আলম বলেন, অভাবের সংসারে অর্থের অভাবে ভালো কিছু করতে পারিনি। অনেক ভেবেচিন্তে হাঁসের খামার করার পরিকল্পনা করি। উপজেলার মাধাইমুড়ি এলাকায় খোলা জলাশয়ে বিলের মধ্যে হাঁস পালন করা দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে মাত্র ৫০টি হাঁস কিনে শুরু করি হাঁস পালনের যুদ্ধ। এরপর থেকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। নিজ বাড়িতে গড়ে তুলেছি হাঁসের হ্যাচারি। নিজের হ্যাচারিতে এখন তুষ পদ্ধতিতে হাঁসের বাচ্চা উৎপাদন করছি।

তিনি জানান, অল্প খরচে লাভও হয় দ্বিগুণ। বিলে বা নদীর তীরে হাঁসের খামার গড়ে তুলতে তেমন খরচের প্রয়োজন পড়ে না। খোলা বিলে একটি হাঁসের জন্য খরচ হয় ৪০-৫০ টাকা। চার থেকে পাঁচ মাস পর হাঁস ডিম দিতে শুরু করে। ক্যাম্বেল জাতের প্রতিটি হাঁস ২৫০-২৮০টি পর্যন্ত ডিম দেয়। ডিম দেওয়া একেবারে কমে গেলে সেই হাঁস বিক্রি করে দেওয়া হয়। তা থেকে লাভ হয় দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা। শহিদুলের হাঁস পালনের সফলতা দেখে পার্শ্ববর্তী আহসানগঞ্জ ইউনিয়নের ঘোষপাড়া গ্রামের অনেক বেকার যুবক গড়ে তুলেছে বিলের বাঁধে হাঁসের খামার।

স্বল্প খরচে হাঁস পালন করে লাভবান হওয়া সম্ভব।’ তারা মনে করেন সরকারি-বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে হাঁসের খামার করে স্বাবলম্বী হয়ে নিজেদের ভাগ্যবদল করতে পারবে অনেক বেকার।

ফার্মসএন্ডফার্মার২৪/জেডএইচ