দেশে বছরে কয়েক শত কোটি টাকার ফলস নষ্ট করে ইঁদুর। এসব ফসলের মধ্যে অন্যতম হলো গম। গম ক্ষেতে ইঁদুর দমনের কৌশল ও সতর্কতা গুলো জেনে রাখলে এ ক্ষতি থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব।
দানাদার খাদ্য হিসেবে বাংলাদেশে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে গম। ইঁদুরের আক্রমণে গম ফসলে বছরে প্রায় শতকরা ৪ থেকে ১২ ভাগ ক্ষতি হয়ে থাকে।
আর ইঁদুরের অত্যাচার বাড়তে থাকে গম যত পরিপক্ক হতে থাকে। ক্ষতির পরিমাণও বৃদ্ধি হয়। ইঁদুর গাছ কেটে গমসহ শীষ গর্তে নিয়ে প্রচুর ক্ষতি করে থাকে। একটি ইঁদুর এক রাতে ১০০ থেকে ২০০ টি পর্যন্ত কুশি কাটতে সক্ষম।
দমন ব্যবস্থাপনা অথবা কৌশল: গম ক্ষেতে ইঁদুর দমনের কৌশল নিয়ে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্র জানায়, গর্তে ইঁদুর দমন করতে গর্তে পানি ঢেলে বা মরিচের ধোয়া দিলে বেশ উপকার পাওয়া যায়। ইঁদুরও দমন হয়।
এছাড়া বিভিন্ন ধরণের ফাঁদ যেমন: বাশেঁর ফাঁদ, কাঠের লোহার ও মাটির তৈরি বিভিন্ন ধরনের ফাঁদ ব্যবহার করে ইঁদুর দমনে সুফল মিলবে।
বোর্ডে বা জমিতে ইঁদুরের খাবার রেখে চতুর্দিকে গ্লু বা আঠা লাগিয়ে রাখলে অনেক উপকার পাওয়া যাবে। এক্ষেত্রে ইঁদুর খাওয়ার জন্য গ্লু এর উপর দিয়ে যাওয়ার সময় আটকে যায়, আটকে পড়া ইঁদুরকে সহজেই মেরে ফেলা যায়।
যে সব উপায়ে ইঁদুরের প্রকোপ কমানো যায় সেগুলোর মধ্যে রয়েছে, ক্ষেতের আইল ছোট ৬ থেকে ৮ ইঞ্চি রাখা। ফসল সারিতে বপন করে এবং বেড পদ্ধতিতে আবাদ করে ইঁদুরের আক্রমন কমানো যায়। প্রতিরোধক জাল ব্যবহার করে।
আর রাসায়নিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ইঁদুর দমন করা যায়। এর মধ্যে ফিনিক্স, র্যাট কিলার, ল্যানির্যাট অথবা বাজারে পাওয়া অনুমোদিত যে কোন একটি ইঁদুরনাশক ব্যবহার করা যেতে পারে।
মনে রাখতে হবে, কোন নির্দিষ্ট একক পদ্ধতি ইঁদুর দমনের জন্য যথেষ্ট নয়। ইঁদুর দমনের সফলতা নির্ভর করে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা এবং বিভিন্ন সময়োপযোগী পদ্ধতি ব্যবহারের উপর।
তাই সম্মিলিত এবং সময়োপযোগী দমন পদ্ধতি প্রয়োগ করলেই জমিতে ইঁদুরের উপদ্রব কমানো সম্ভব। এছাড়া যেকোন পরামর্শের জন্য স্বল্প মূল্যে ‘কৃষি কলা সেন্টারে’আপনার মোবাইল হতে ১৬১২৩ নম্বরে (শুক্রবার ছাড়া) প্রতিদিন সকাল ৯টা হতে বিকাল ৫টা পর্যন্ত কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া যেতে পারে অথবা স্থানীয় কৃষি অফিসের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।
ফার্মসএন্ডফার্মার/১২মার্চ২০
