সেখ জিয়াউর রহমান, কুড়িগ্রাম থেকে: কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলার চাকির পশার পাঠক গ্রামে গরুর খামার করে এখন কোটিপতি ভবেন্দ্র নাথ মন্ডল।
১৯৭৮ সাল থেকে তিনি এ খামারের যাত্রা শুরু করেন। বর্তমানে তার খামারে গাভীর সংখ্যা ৪০টি। গরুর দুধ উৎপাদন ১৬ থেকে ১৮ লিটার পর্যন্ত। তার খামারে বকনা বাছুর আছে ১০টি আর এড়ে বাছুর আছে ২৫টি। তার খামারের গোবর দিয়ে তৈরি করা হয়েছে ব্যায়োগ্যাস প্লান্ট।
এছড়া তিন একর জমিতে চাষ করেছেন জার্মান ঘাস। তার উৎপাদিত ঘাস দিয়ে তার খামারের গরুর খাদ্য সরবরাহ করে থাকে।
খামারি ভবেন্দ্রনাথ বলেন, এ ঘাস খাওয়ালে গরুর দুধ অনেক বেড়ে যায় এবং গরুর স্বাস্থ্য ভালো থাকে। গর্ভধারনের হার ও বেশ ভালো। খামার থেকে উৎপাদিত দুধ বিক্রয় করে বেশ সফলতা লাভ করেছেন। এছাড়া বছরে ১৫টি এঁড়েগরু ভালো দামে বিক্রি করে বেশ সফলতার সঙ্গে দিন কাটাচ্ছেন তিনি। এই সফলতা দেখে আশেপাশের ছোট ছোট অনেক দুগ্ধ খামার গড়ে উঠেছে।
তিনি জানান, মাঝে মাঝে দুধ বিক্রি করতে একটু সমস্যার সৃষ্টি হয়। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরামর্শ হলো- দুধের পরিবর্তে দুগ্ধজাত দ্রব্য তৈরি করে বাজারে বিক্রয় করা। যেমন-দধি, ছানা, চকলেট, মিল্ক, ইত্যাদি। তাছাড়া স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের সহায়তায় সব শ্রেণির মানুষের মধ্যে দুধ খাওয়ার আগ্রহ সৃষ্টি করা।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মাহবুবার রহমান তার খামার দেখে বেশ সন্তোস প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, প্রতি ঘরে ঘরে এ রকম ভবেন্দ্রনাথ মন্ডল তৈরি করার জন্য প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের লোকজন অবিরাম কাজ করে যাচ্ছে। কারণ একগ্লাস দুধ খেতে পারে না এমন মানুষের সংখ্যা কম আছে। এখন আমাদের কাজ হবে সকল মানুষকে সচেতন করা।
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মারস২৪ডটকম/এম