গরু মোটাতাজাকরণে কচু শাক, জেনে নিন খাওয়াবেন কিভাবে

3104

কচু শাক বাংলাদেশের অতি পরিচিত একটি শাক। গ্রাম বাংলার প্রতিটি বাড়ির আশে পাশে পতিত জমিতে ডোবাতে এবং রাস্তার পাশে প্রচুর কচু শাক জন্মে থাকে। কচু শাকের রং দুই রকম। একটি সবুজ রঙের আরেকটি কালো রঙের। পুষ্টির দিকে দিয়ে কালো কচু শাকের পুষ্টিমান বেশী।

কচুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, সি, আয়রণ ও ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। তাছাড়া মানব দেহের জন্য অতি প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ লবণও পাওয়া যায়। অতি অনাদরে অবহেলায় বড় হওয়া এ সবজিটি গরুর শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি খাবার।

রাসায়নিক উপাদান
পুষ্টিবিদদের মতে কচু গাছের পাতা ও মূলে প্রচুর পরিমাণে সূচাকর দ্রবণীয় অক্সালেটের দানা থাকে। মূলের রাইজোম ছাড়া সকল অংশে ট্রিগলো চিনিন, আইসোট্রিগলোচিনিন, বিটা-গ্লুকোসাইড এবং হাইড্রোলাইজিং এনজাইম থাকে।

পুষ্টি উপাদান
পুষ্টিবিদদের মতে প্রতি ১০০ গ্রাম খাবার উপযোগী কচু শাকে পুষ্টি উপাদান:-
কালো কচু শাকে: খাদ্য শক্তি ৭৭ কিলোক্যালরী, আমিষ ৬.৮ গ্রাম, চর্বি ২ গ্রাম, শর্করা ৮.১ গ্রাম, ক্যারোটিন ১২০০০ মাইক্রোগ্রাম। যা হতে ভিটামিন এ রুপান্তরিত হয়। ভিটামিন বি-১ (থায়ামিন) ০.০৬ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি-২ রাইবোফ্লাবিন ০.৪৫ মিলিগ্রাম, ভিটামিন সি ৬৩ মিলিগ্রাম, লৌহ (আয়রণ) ৩৮.৭ মিলিগ্রাম।

সবুজ কচু শাকে: খাদ্য শক্তি ৫৬ কিলোক্যালরি, আমিষ ৩.৯ গ্রাম, চর্বি ১.৫ গ্রাম, শর্করা ৬.৮ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ২২৭ মিলিগ্রাম, আয়রণ ১০ মিলিগ্রাম, ক্যারোটিন বা ভিটামিন এ ১০ হাজার ২৭৮ মাইক্রোগ্রাম, ভিটামিন বি-১ ০.২২ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি-২ ০.২৬ মিলিগ্রাম, ভিটামিন সি ১২ মিলিগ্রাম, তাছাড়া আরো সামান্য পরিমাণে অন্যান্য খনিজ উপাদান রয়েছে।

উপকারিতা
গরু মহিষ মোটাতাজা করণের জন্যে কচুর শাকের ভুমিকা অনেক।। তাই কম খরচে গবাদীপশুকে কচুর শাক খাওয়াতে পারেন। কচুর শাক সিদ্ধ করে দানাদার খাদ্যের সাথে মিশিয়ে খাওয়াতে পারবেন।

একজন ভেটেরিনারিয়ান,তাই ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রাণিসম্পদ সেক্টরের উন্নয়নে ভূমিকা রাখার লক্ষ্যে দেশের শিক্ষিত সমাজকে লাইভস্টক সেক্টরে কাজ করতে উৎসাহিত করার প্রচেষ্টা করছি।সেই লক্ষ্যে ফেসবুক,ইউটিউব এবং ব্লগ সাইটের মাধ্যমে ফার্মারদের নানাবিধ পরামর্শ প্রদান করতে চেষ্টা করি।ইতোমধ্যে আমার ইউটিউব চ্যানেল ১ লক্ষাধিক সাবস্ক্রাইব অর্জন করায় ইউটিউব থেকে চ্যানেলটি ভেরিফাইড হয়েছে।

ফার্মসএন্ডফার্মার/১৮আগস্ট২০