গরু মোটাতাজা করার জন্য একটি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি রয়েছে। এই পদ্ধতিতে ইউরিয়া, চিটাগুড়, ধানের খড় মিশিয়ে গরুকে খাওয়ানো হয়। এই পদ্ধতিতে গরুকে মোটাতাজা করার জন্য ৪-৫ মাস সময় লাগে। একজন প্রকৃত খামারি কখনই ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে গরু মোটাতাজাকরণ করবেনা। আসুন জেনে নেই গরু মোটাতাজাকরণে যে কাজগুলো কখনই করা যাবেনা।
গরু মোটাতাজাকরণে যে কাজগুলো করা যাবেনা;
দেশে অনেক লোভী খামারি ও ব্যবসায়ী আছে যারা ৩ সপ্তাহ থেকে ২ মাসের মধ্যে গরুকে মোটাতাজা করতে চায় সেসময় কতগুলো ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে যা কখনই করা উচিত নয়।
গরু মোটাতাজা করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ওষুধ ও রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার পরিহার করতে হবে।
দ্রুত মোটাতাজাকরণের জন্য নির্দেশিত মাত্রার চেয়ে অনেক বেশী পরিমাণ ইউরিয়া ব্যবহার করা যাবেনা।
স্টেরয়েড গ্রুপের ঔষধ যেমন- (ক) ট্যাবলেট- ডেকাসন,ওরাডেক্সন, প্রেডনিসোলন, বেটনেনাল, কর্টান, স্টেরন, এ্যাডাম-৩৩ ইত্যাদি ঔষধ ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
ইনজেকশন-ডেকাসন, ওরাডেক্সন ইত্যাদি, অ্যানাবলিক স্টেরয়েড ইনজেকশন প্রয়োগ করা যাবেনা
এ্যান্টিহিস্টামিন গ্রুপের ওষুধ : সিপ্রোহেপটাডিন যেমন-পেরিএ্যাকটিন ট্যাবলেট পরিহার করতে হবে।
উপরে বর্ণিত ঔষধ ও রাসায়নিক দ্রব্যগুলো গরুর শরীরের স্বাভাবিক বিপাক প্রক্রিয়া নষ্ট করে দেয়। গরুর ক্ষুধা এবং পিপাসা বেশী হয়। এতে গরু প্রচুর পরিমানে খাদ্য ও পানি খেতে থাকে । অন্যদিকে ঔষধ ও রাসায়নিকের প্রভাবে গরুর শরীরে পানি ও তরল পদার্থ জমা হতে শুরু করে।
এসব মিলিয়ে অতি দ্রুত গরুকে মোটা দেখাতে থাকে। এই গরুগুলো বেশী দিন বাঁচেও না। অস্বাভাবিকভাবে মোটা করা এইসব গরু নির্জীব ও শ্লথ হয়ে যায়। এদের ঘন ঘন শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে হয়। আচরনে অত্যন্ত ক্লান্তিভাব দেখা যায়। গরুর মাংস থেকে ঔষধ ও রাসায়নিক পদার্থ মানব শরীরে প্রবেশ করে। এসব গরুর মাংস খাওয়ার ফলে মানুষের কিডনী, লিভার, হৃদপিন্ডসহ অন্যান্য অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এতে লিভার ও কিডনীর রোগ দেখা দেয়। বিদ্যমান উচ্চরক্তচাপ ও ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে সুগারের মাত্রা বেডে যায়। যাদের রক্তচাপ ও রক্তে সুগারের মাত্রা বিপদসীমার কাছাকাছি তাদের ক্ষেত্রে উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি বাড়তে থাকে। এছাড়া স্টেরয়েড জাতীয় ঔষধ মানবশরীরে বেশী মাত্রায় জমা হলে মানুষের বিপাক ক্রিয়াতেও প্রভাব পড়ে।
ফার্মসএন্ডফার্মার/২৮মার্চ২০