গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার ধাপেরহাট ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় সারা বছরই এখানে অর্গানিক পদ্ধতিতে নানা ধরনের সবজির আবাদ করা হয়। পটল, বেগুন, শিম, শসায় ভরপুর জমি। চাষিরা ব্যস্ত সবজি পরিচর্যায়।পুষ্টিগুণে ভরপুর ও পরিবেশবান্ধব সবজি চাষে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করা হয় না বলে খরচ কম হয় কিন্তু লাভ বেশি পাওয়া যায়। আর তাই এভাবে সবজি চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন গাইবান্ধার চাষিরা।
সাদুল্যাপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে প্রচুর পরিমাণ ফলছে সবজি। এর মধ্যে রয়েছে পটল, বেগুন, শিম, শসা, ঝিঙ্গা, ঢেঁড়স, বরবটি, মাছ আলু (পুরআলু), মিষ্টি কুমড়া ও চাল-কুমড়া। এসব সবজি চাষে তারা জৈব সার ব্যবহারের দরকার হলেও রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করার প্রয়োজন পড়ে না।
অতীতে এসব জায়গায় ধান, পাট, ভুট্টার চাষ হতো বেশি। তখন সামান্য কিছু জমিতে সবজি চাষ হতো। পরে লাভ বেশি হওয়ায় সবজি চাষে ঝুঁকে পড়েন চাষিরা। এসব সবজি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে পৌঁছে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়।
তবে এসব উপজেলার চাষিদেরই অভিযোগ, কিটনাশক ছাড়া সবজি চাষে সফলতা পেলেও কৃষি বিভাগ থেকে তারা কখনও কোনও পরামর্শ বা সহযোগিতা পাননি।তাদের বিশ্বাস, কৃষি বিভাগ পরামর্শ দিলে ও সহযোগিতা করলে সবজির চাষ ও উৎপাদন আরও অনেক বেড়ে যেতো।
সাদুল্যাপুরের ধাপেরহাট ইউনিয়নের এক সবজি চাষি জানান, মাটি উর্বর হওয়ায় কৃষকরা সবজির আবাদ বেশি করছেন। উৎপাদিত সবজি বিক্রি করে তারা লাভের মুখও দেখছেন। তিনি বলেন, ‘চলতি মৌসুমে আমি একই জমিতে হলুদ, মরিচ ও বেগুন চাষ করেছি। ইতোমধ্যে বেগুন ও মরিচ ধরতে শুরু করেছে। ১৫-২০ দিনের মধ্যে আমি জমি থেকে বেগুন ও মরিচ তুলে বাজারে বিক্রি শুরু করব। এছাড়া ৬০ দিনের মধ্যে হলুদও বিক্রি করতে পারব।’
গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আ.ক. মো. রুহুল আমীন বলেন, ‘ এ বছর সাদুল্যাপুর উপজেলায় দুই হাজার হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হয়েছে।কৃষকরা নিজ উদ্যোগে বিষমুক্ত সবজি উৎপাদন করে ব্যাপক সাড়া ফেলে দিয়েছেন। জেলার সব সবজি চাষিদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাসহ সহযোগিতা করা হবে।’
কৃষি বিভাগে জনবল সংকট থাকায় প্রান্তিক কৃষকদের কাছে যাওয়া হয় না। তবে কৃষকদের সবসময় মোবাইল ফোনে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
ফার্মাসএন্ডফার্মার২৪/জেডএইচ