নাহিদ বিন রফিক: গোলআলু বাংলাদেশের প্রধান সবজি। আমরা যেমন ভাত খাই, তেমনি বিশ্বের ৪০ টি দেশের লোকেরা আলু খায়। অথচ কেউ কেউ মনে করেন, আলুর পুষ্টিমান খুব কম এবং এতে ভুঁড়ি বাড়ে। আসলেই এ ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। কারণ পুষ্টিবিজ্ঞানীদের মতে, আলুতে ভিটামিন-এ ও ভিটামিন-সি রয়েছে। কিন্তু চালে মোটেও নেই। এছাড়া শর্করা, আমিষ, ক্যালসিয়াম, লৌহ, ভিটামিন-বি তো আছেই। অপরদিকে চর্বির পরিমাণ চালের তুলনায় অনেক কম এবং আটার মাত্র এক পঞ্চমাংশ। একজন পূর্ণবয়স্ক লোক দৈনিক ২০০-২৫০ গ্রাম করে আলু খেলে তাতেই ভিটামিন-সি’র চাহিদা পূরণ হয়ে যায়। গোলআলু একমাত্র সবজি যা যে কোনো মাছ ও গোশত রান্নায় তরকারি হিসেবে ব্যবহার হয়। আলু ভর্তা, ভাজি, চাটনি, লাবড়া এসব নিরামিষভোজীদের অতি প্রিয়। এছাড়া তৈরি করা যায় চপ, সিঙ্গারা, পুরি, চটপটি এবং চিপস’র মতো স্বাদের খাবার। আলু কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। হৃদরোগীরাও আলু খেতে পারেন। সম্প্রতি একদল খ্যাতিনামা বিজ্ঞানী তাঁদের গবেষণায় আলুর মধ্যে ব্যাকটেরিয়াবিনাশী এক ধরনের মৌল খুঁজে পান। পাকস্থলীর ক্ষত ও বুকজ্বালার জন্য যে ব্যাকটেরিয়া দায়ী, তা প্রতিরোধে এ মৌলটি এ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে। ম্যানচেস্টার ইউনিভার্সিটির ফ্যাকাল্টি অব লাইফ সায়েন্সের মাইক্রোবাইয়োলজির অধ্যাপক ও গবেষক ইয়ান রোবার্ট বলেন, পেটের পীড়া নিরাময়সহ পাকস্থলীর আলসার প্রতিরোধে আলুর জুস অনন্য। এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। তাই আসুন- আমরা সবাই আলু খাই, ভাতের ওপর চাপ কমাই।