ঘরের ভেতর মাছ চাষে ৩০ গুণ বেশি উৎপাদন

527

29572651_1198040650333211_8244480430108914457_n
আধুনিক ও বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে ঘরের ভেতর মাছ চাষ করে পুকুরের চেয়েও প্রায় ৩০ গুণ বেশি উৎপাদন সম্ভব। বাংলাদেশে এ প্রযুক্তিতে প্রথম মাছ চাষ শুরু করেন `ফিশ হ্যাচারি ও কালচার ফার্ম অ্যাগ্রো থ্রি`র স্বত্বাধিকারী এবিএম শামসুল আলম বাদল। এ পদ্ধতিতে এক ঘনমিটার পুকুরে দুই কেজি মাছ হলে আরএএস (রিসার্কুলেটিং অ্যাকুয়াকালচার সিস্টেম) পদ্ধতিতে ৫০ থেকে ৬০ কেজি মাছ উৎপাদন করা সম্ভব।বাংলাদেশের মাছের বিদেশে প্র চুর সু নাম আছে ও রপ্তানি হয়ছে। দেশে বসে বিদেশের টাকা খামান

এ পদ্ধতি বাংলাদেশে একেবারে নতুন হলেও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইতিমধ্যেই এ পদ্ধতি খুব জনপ্রিয়। আমাদের দেশে দেরিতে হলেও ময়মনসিংহের মৎস্য চাষি এ বি এম শামছুল আলম বাদল ব্যক্তিগত উদ্যোগে আরএএস পদ্ধতি ব্যবহার করে মাছ উৎপাদন শুরু করে সফলতা পেয়েছেন।

এ প্রযুক্তিতে তিনি ময়মনসিংহ শহরের বিসিক শিল্পনগরীর একটি টিনশেড প্লটে ১০ টন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন ৮টি ট্যাঙ্ক স্থাপন করেন। প্রতিটি ট্যাঙ্কে পাইপ দিয়ে মেকানিক্যাল ফিল্টার সংযুক্ত করা হযেছে। মেকানিক্যাল ফিল্টারের কাজ প্রতিটি ট্যাঙ্কের মাছ ও মৎস্য খাদ্যের বর্জ্য পরিষ্কার করা। পরে এ পরিষ্কার পানি পাম্প দিয়ে বায়োফিল্টারে উত্তোলন করা হয়। এ প্রযুক্তিতে উৎপাদিত মাছের গুণগতমান অনেক উন্নত ও স্বাস্থ্যসম্মত।

বাদল জানান, কয়েক মাস আগে বিদেশ থেকে যন্ত্রাংশ আমদানি করে প্রায় ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে ১ আগস্ট ৫০ শতাংশ জমিতে ১০ টন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন ৮টি ট্যাঙ্ক স্থাপন করেন তিনি। এ পদ্ধতিতে মূলত ক্যাটফিশ জাতীয় মাছ (পাবদা, গোলসা, শিং, মাগুর) চাষ করা হয়। বর্তমানে ৮টি ট্যাঙ্কে তিনি পাবদা ও গোলসা মাছ চাষ করছেন।

তিনি আরও জানান, চার মাসে প্রতিটি ট্যাঙ্কে আনুমানিক ৬শ` কেজি মাছ উৎপন্ন করা সম্ভব হবে। প্রতি কেজির উৎপাদন খরচ হবে দুইশ` টাকা এবং চারশ` টাকা দরে এ মাছ বিক্রি করতে পারবেন বলে ধারণা করছেন তিনি। এ ধরনের চাষ-পদ্ধতিতে মাছের খাদ্য কম লাগে। এ প্রযুক্তিতে উৎপাদিত মাছ স্বাভাবিক মাছের তুলনায় আকারে বড় হয়। রোগবালাই ও মড়কের আশঙ্কা নেই।

ফার্মসএন্ডফার্মার/১৬মার্চ২০