ঘরের সাজে দেশি গাছ

1412

1ed9c0894b

চারদিকে পরিবেশ দূষণে যেখানে আমাদের নাজেহাল অবস্থা সেখানে ঘরের ভেতর বা বারান্দার কোণে একটু সবুজের ছোঁয়া আনতে পারে সজীব-সতেজ পরিবেশ।

বাড়ির সামনে বা পেছনে বাগান করা ইট-পাথরের শহরে আজ স্বপ্ন। তাই বাড়ির ভেতর নানা রকম ইনডর প্ল্যান্ট; যেমন-পেতে পারি সবুজের ছোঁয়া তেমনি পূরণ করতে পারি তাজা সবজির চাহিদা।

সীমিত হলেও তা কিন্তু হবে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। যেমন বারান্দার দু’ধারের কোণে দু’টি দশ ইঞ্চি মাপের টবে একটিতে লাগান শসা গাছ অন্যটিতে করল্লা বা পান গাছ। গাছ একটু বড় হলে মানি প্ল্যান্টের মতো বারান্দার রেলিং অথবা টবের গায়ে সুতো লাগিয়ে দিন। এসব গাছে খুব একটা যত্নের প্রয়োজন হয় না। যখন করল্লার হলুদ ও শসার সাদা ফুল ফুটবে তখন সেই পরিবেশ হয়ে উঠবে অনন্যসুন্দর।

এছাড়া টবে লাগান কাঁচা মরিচ, ধনেপাতা, তুলসী গাছ, ঢেড়শ গাছ। তুলসী ও থামকুনি পাতা ভেষজ ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। বিশেষত বাচ্চাদের সর্দি-কাশি ও পেটের অসুখে। মাঝে মাঝে শসা, করল্লা ও পানের টব বাদে অন্যান্যা টব দিয়ে ঘর সাজাতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনাকে একটু কষ্ট করে সপ্তাহে তিন দিন টবগুলো বাইরে রেখে রোদ খাওয়াতে হবে। এসব গাছের মাটির টব পেইন্ট করে নিন। পেতল অথবা রড আয়রনের টবও ব্যবহার করা যায়। বসার ঘরের কোণে, শোবার ঘরের ড্রেসিং টেবিলের ওপর রাখতে পারেন। তবে এ ধরনের টবের আকার যেন ছোট হয়। নইলে দৃষ্টিন্দনের পরিবর্তে দৃষ্টিকটু লাগবে। আবার ঘরের আশপাশটা আপনার যদি খালি খালি লাগে তাহলে একটা ভাল অপশন আছে। জানালায় হ্যাঙ্গিং পটে রাখতে পারেন এই ধরনের গাছ, যা নিচের দিকে ঝুলে থাকবে। আর আপনার ঘরে বেশ কিছু নির্জীব জিনিসের মাঝে একচিলতে সবুজের ছোঁয়া কিন্তু মন্দ লাগবে না।

তবে একটা কথা মনে রাখতে হবে, মাটি, রড, আয়রন অথবা পিতল যা-ই ব্যবহার করুন না কেন, তা যেন সুন্দর হয়। মাটির হলে পেইন্ট, একরঙ বা নকশা করে নিন। এমন রং করবেন যা আপনার ঘরের সঙ্গে মানানসই হয়। আর যদি ছাদ থাকে তাহলে বানিয়ে ফেলুন রুফগার্ডেন। ছাদের কিছুটা অংশ ঢেকে দিতে পারেন, খোলও রাখতে পারেন।

ছোট বড় নানা রকম টবে লাগিয়ে ফেলুন নানা রকম সবজির গাছ। মাঝে মাঝে ঘরে এনে ঘরের শোভা বাড়ান। একটা গাছ দু’দিন রেখে আবার বদলিয়ে রাখুন। এভাবে গাছেরও কোনো ক্ষতি হবে না ঘরও হয়ে উঠবে ব্যতিক্রমী সাজে দৃষ্টিনন্দন।

এখানে একটা কথা জানা দরকার যে সবজি চাষ খুব কষ্টসাধ্য নয় আবার সারের ব্যবহারও খুব একটা বার বার দিতে হয় না। তবে আপনি যদি কৃষি দপ্তর থেকে বুকলেট এনে সেইমতে করেন তাহলে ভাল। কোন গাছে কতটা রোদ প্রয়োজন, কতটুকু সার দিতে হবে-এসব জানা থাকলে পরিবারের সবাই যত্ন করতে পারবেন। আবার ঘরে নতুনত্ব আনতে চাইলে মাঝে মাঝে সরষে ফুল এনে ছোট কাঁচের গ্লাসে সাজিয়ে রাখুন। গ্লাসটা যে প্লেটে রাখবেন সেই প্লেটে ছড়ানো মোটরশুটি রাখুন। এভাবে কচুরিপানার পাতা বা ফুলও রাখতে পারেন।

পাট পঁচানোর রিবন রেটিং পদ্ধতি

ইলিশ ধরা পড়ায় জেলেদের চোখে রুপালি আনন্দ

হাজার বছরের পুরনো বীজ থেকে উচ্চ ফলনশীল জাত উদ্ভাবন সম্ভব

লেখক: কৃষিবিদ বকুল হাসান খান

ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/এম