ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে ২ লাখ ২৭ হাজার চাষি ক্ষতিগ্রস্ত

449

ঝিনাইদহে সবচেয়ে ভয়াবহ ছিল ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। রাত ১১টা থেকে সকাল পর্যন্ত তাণ্ডব চালায় ঝড়। এতে ভেঙেছে গাছ-পালা ও বাড়ি-ঘর। ভেসে গেছে খামার-পুকুরের মাছ। নষ্ট হয়েছে মাঠের ফসল। এতে জেলার ছয় উপজেলায় প্রায় ২ লাখ ২৭ হাজার কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্যমতে, জেলায় দেড় হাজার হেক্টর কলা, ১ হাজার ২৫ হেক্টর শাক-শবজি, ১ হাজার ৯৫০ হেক্টর মুগডাল, ২ হাজার ২০ হেক্টর তিল, সাড়ে ৭শ হেক্টর মরিচ, একশ হেক্টর বোরো ধান, দেড় হাজার হেক্টর পান, ২ হাজার ৮৭৫ হেক্টর আম, ৪১৮ হেক্টর লিচু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সে হিসেবে টাকার অঙ্কে ফসলের ক্ষতি হয়েছে ৮৮ কোটি ৮৯ লাখ টাকা।

সদর উপজেলার হলিধানী গ্রামের কলা চাষি কাদের মিয়া জানান, এ বছর তিনি আড়াই বিঘা জমিতে কলা চাষ করেছিলেন। কয়েকদিন হলো অল্প কিছু কলা বিক্রি করতে পেরেছেন। কলা বিক্রি করে তিনি কমপক্ষে ৩ লাখ টাকা আয় করতেন। আম্ফানের কারণে তার ৩ বিঘা জমির কলাগাছ ভেঙে পড়েছে।

হরিণাকুন্ডু উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের কৃষক রাশেদুল ইসলাম জানান, ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে তার দেড় বিঘা জমির পানের বরজ নষ্ট হয়ে গেছে। বরজে প্রায় আড়াই লাখ টাকার পান ছিল। বিধ্বস্ত পানের বরজ মেরামত করতে এখন প্রায় ১ লাখ টাকা খরচ হবে।

মহেশপুর উপজেলার নাটিমা গ্রামের কৃষক শামীম হোসেন জানান, আম্ফানের কারণে তার মাছের খামার ভেসে গেছে। এ ছাড়াও তার ১০ বিঘা জমির কলা নষ্ট হয়েছে। মূলধন হারিয়ে এখন পথে বসেছেন তিনি। এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করে সরকারিভাবে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন জনপ্রতিনিধিরা।

শৈলকুপা উপজেলার ফুলহরি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জামিনুর রহমান বিপুল বলেন, ‘জেলার প্রতিটি ইউনিয়নের কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব কৃষকের তালিকা করে সরকারিভাবে সহযোগিতা করলে তারা একটু হলেও বাঁচতে পারবে।’

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক কৃপাংশু শেখর বিশ্বাস বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করা হয়েছে। অন্যান্য ফসল যা রয়েছে, তা সংরক্ষণ ও বিপণনের জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়াও মাঠে মাঠে গিয়ে কৃষকদের সান্ত্বনা দেওয়া হচ্ছে।’

সূত্র: জাগো নিউজ

ফার্মসএন্ডফার্মার/৩১মে২০