[su_slider source=”media: 3888,3889,3890″ title=”no” pages=”no”] [/su_slider]
তুষার কুমার সাহা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি: সজিনা একটি পুষ্টিসমৃদ্ধ সবজি। ঔষুধিগুণও আছে বেশ। এর ফুল ও পাতা শাক হিসেবে খাওয়া যায়। গবাদিপশুর খাবারেও ব্যবহার হয়। গাছের ছাল থেকে তৈরি হয় রশি বা দড়ি। শুধু তাই নয়; এর বীজ থেকে তেল পাওয়া যায়, যা ওষুধ তৈরিতে কাজে লাগে। দেশের সব ধরনের মাটিতে এ গাছ লাগানো যায়। ঋতু পরিবর্তনের কারণে, বিশেষ করে ফাল্গুন-চৈত্রে অনেকের মুখে রুচি থাকে না। জিহ্বার স্বাদ ফিরিয়ে আনতে মটর বা মুগ ডালের সাথে সজিনার লাবড়া অনন্য। এছাড়া সরিষার সাথে চরচরি করেও খাওয়া যায়। কাজেই বহুগুণে গুণান্বিত এ সজিনার ডাল বা কাটিং কিংবা বীজ থেকে চারা তৈরির করে আপনি ইচ্ছে করলেই বসতবাড়ির আঙ্গিনায়, পুকুর পাড়ে, এমনকি যে কোনো পতিত জায়গায় লাগাতে পারেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) সূত্রে জানা যায়, গত বছর বিশেষ কর্মসুচির (স্ব-উদ্যোগি) আওতায় জেলায় ২৫ হাজার ৪ শত ৭০টি বারোমাসি সজিনা ডাল বিভিন্ন রাস্তা-ঘাট, বাঁধের ধার, পুকুর পাড় ও স্কুল-কলেজে-মাদ্রাসার পতিত জায়গায় রোপণ করা হয়। যেখান থেকে বেশ কয়েক হাজার মন সবজি সংগ্রহ করে নিজেদের প্রয়োজন মিটিয়ে বাজারে বিক্রি করে কৃষকরা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. মুন্জুরুল হুদা জনান, গত বারের মতো এবারও বিশেষ কর্মসুচির (স্ব-উদ্যোগি) আওতায় জেলার সদর, শিবগঞ্জ, ভোলাহাট, নাচোল ও গোমস্তাপুর উপজেলার আওতাধীন ১৩৯টি ব্লকে ৬৭ হাজার ৪ শত ১৫ টি সজিনা ডাল রোপণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ কর্মসুচি আগামী মে-জুন মাসে শুরু হবে। প্রতি ব্লকে ৩ শত ৮৫টি বারোমাসিসহ মোট ৪ শত ৮৫ টি সজিনার কাটিং রোপণের জন্য উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট ব্লকের উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তিনি আরো জানান, এ কর্মসুচি বাস্তবায়িত হলে আগামীতে বাণিজ্যিকভাবে সজিনা চাষ সম্প্রসারিত হবে। এতে এলাকায় মানুষের পুষ্টি পূরণের পাশাপাশি জীবনমান হবে উন্নত।