গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার সাহারভিটা গ্রামের জাহানারা বেগম। নিজেদের প্রয়োজনে বাড়ির চারপাশে কয়েক জাতের আম গাছ লাগান। সাথে ৫ বছর আগে একটি বারোমাসি আম গাছও লাগান। তখন বছর যেতে না যেতেই আম ধরতে শুরু করে। সেই গাছ এখনো বারো মাস আম দিয়ে যাচ্ছে।
জাহানারা বেগম জানান, বারোমাসি আম গাছে সারা বছর আম থাকে। প্রতিটি আমের ওজন ২৫০ থেকে ৫০০ গ্রাম হয়। খেতেও অনেক সুস্বাদু। আম শেষ হতে না হতেই আবার মুকুল আসে। এভাবে সারা বছর আম থেকে যায় গাছে।
অসময়ে আমের মুকুল ও ফল দেখে অনেকেই এ আমের চাষ করতে আগ্রহ পোষণ করেছেন। এমনই এক যুবক একরামুল হক বলেন, ‘আমরা বাজার থেকে ফল কিনতে গেলে ফরমালিনের ভয় থেকেই যায়। তাই বাণিজ্যিকভাবে এ আমের চাষ করলে ভয় কমে যাবে।’
গাছাবাড়ী গ্রামের কৃষক ছাইদুর রহমান বলেন, ‘বারোমাসি আম গাছ লাগানোর অনেক ইচ্ছা আছে। তবে চারা না পাওয়ায় লাগাতে পারছি না। সরকারিভাবে যদি আমের চারা দিতো, তাহলে লাগাতে পরতাম। কারণ ভালো জাতের বারোমাসি আমের কাটিং চারার দাম ৩শ থেকে ১ হাজার টাকা।’
সাঘাটা উপজেলা সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা হাসান আলী বলেন, ‘ফরমালিনের হাত থেকে বাঁচতে বারোমাসি ফল চাষ করা একান্ত জরুরি। আমরা কৃষকদের মাঝে বারোমাসি বিভিন্ন ফলের চারা বিতরণে চেষ্টা করবো।’
কৃষি গবেষক মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বারোমাসি আমের চারা উৎপাদন করতে সরকারের কৃষি বিভাগকে এগিয়ে আসা দরকার। কিভাবে চারা রোপণ করতে হয়, তা হাতেকলমে শেখালেই ফলের চারার সংকট দূর করা সম্ভব।’
ফার্মসএন্ডফার্মার২৪/জেডএইচ