জীবন্ত মুরগী বাজারজাতকরণ ও এর ক্ষতিকর প্রভাব

1101

[su_slider source=”media: 1172,1173″ title=”no”]

কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও সস্তা পুষ্টির ক্ষেত্রে পোল্ট্রি সম্পদ (মুরগীর মাংস ও ডিম) এর ভূমিকা যে অনেক সেটা আমাদের সবারই জানা। ২০১১-১২ অর্থবছরে বাংলাদেশে ২৪.২৯ কোটি মুরগী (অনান্য পাখিসহ), ১.৬ কোটি ডিম উৎপাদিত হয়েছে এবং এর বিপরীতে চাহিদা ছিল ২৯.৮৩ কোটি মুরগী এবং ১.৭ কোটি ডিম। এই চাহিদা ও যোগান পার্থক্য মুরগী উৎপাদনকারী ও বাজার মধ্যসত্ত্ব ভোগীদের মধ্যে জীবন্ত মুরগী দ্রুত সরবরাহ করে বেশী লাভ করার প্রবণতা কাজ করে। যা স্বাস্থ্য ঝুঁকি ও পোল্ট্রি শিল্পের টেকসই উৎপাদনকে হুমকির সম্মুখীন করছে।

সাভার উপজেলা পোল্ট্রি উৎপাদন ও বাজারজাতকরনের উপর বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনন্সিটিউট এর আর্থ-সামাজিক গবেষণা বিভাগ “জীবন্ত মুরগী বাজারজাতকরণ ও এর ক্ষতিকর প্রভাব” সম্পর্কে একটি গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য। গবেষণায় জীবন্ত মুরগী বাজারজাতকরণের সাথে জড়িত ব্যক্তিবর্গ (ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে ভোক্তা পর্যন্ত) বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত হওয়া এবং রোগগুলি পার্শ্ববর্তী এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে সুস্থ মুরগীকে আক্রান্ত করছে। এমন ফলাফল পাওয়া যায়। তাই প্রক্রিয়াজাতকৃত মুরগী এখন সময়ের দাবী। যদি নিশ্চিত করা যায় যে, প্রক্রিয়াজাতকৃত মুরগী হালাল, রোগমুক্ত ও স্বাস্থসম্মত, তাহলে ভোক্তাগণ সেটা গ্রহণে আগ্রহী। পোল্ট্রি উৎপাদন ও বিপণন নিঃসন্দেহে লাভজনক। টেকসই, পরিবেশ বান্ধব ও পোল্ট্রি বিপণনের আধুনিক অর্থনীতির জন্য নিন্ম বর্ণিত পদক্ষেপগুলো প্রয়োজনঃ

  • জীবন্ত মুরগীর বিপণন ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রিত রাখা।
  • সারাদেশে “মিনি পোল্ট্রি প্রসেসিং প্লান্ট” জড়ে তোলা বিশেষ করে পোল্ট্রি উৎপাদন যেখানে বেশী হয়।
  • প্রক্রিয়াজাতকৃত মুরগীর মাংসের গুনগতমান পরীক্ষা ও সনদ প্রদানের জন্য আইনগত কাঠামো গড়ে তোলা।
  • পোল্ট্রি প্রক্রিয়াজাতকৃত বর্জ্য নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলা যাতে পরিবেশের ক্ষতিসাধন না হয়।
  • জনসাধারণের মাঝে জীবন্ত মুরগী বিক্রি ও পরিবহনের ক্ষতিকারক দিক সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তোলা।

সূত্র: বিএলআরআই