জেনে নিন হাঁসের মারাত্মক রোগসমূহ ও তার চিকিৎসা পদ্ধতি

1493

১।ডাক ভাইরাল হেপাটাইটিস
#এটি মারাত্মক সংক্রামক রোগ যা picorna virus দিয়ে হয়।
# হঠাত আক্রান্ত হয় এবং দ্রুত বিস্তার লাভ করে ও সবুজ পায়খানা করে।
# বাচ্চা গুলি চোখ বন্ধ করে রাখে এবং বসে থাকে ও এক পাশে কাত হয়ে শুয়ে থাকে।
চিকিৎসা; চিকিসায় ভাল রিজাল্ট পাওয়া যায়না
টিকা; হে পাটোভেক্স ০.৩ সি সি করে;৩-১১ সপ্তাহে ১ম টিকা চামড়ার নিচে এবং ৪ সপ্তাহ পর আবার দিতে হবে

২।ডাক প্লেগ।
এটি ডাক প্লেগ ভাইরাস দিয়ে হয়।
প্রতি বছর অনেক হাস এই রোগে মারা যায়।মৃত্যহা র ১০০ পর্যন্ত হতে পারে।
#হঠাত আক্রান্ত হয় এবং অনেক মারা যায় যেতে থাকে ও ডিম কমে যায়।
#পানি বেশি খায় এবং পুরুষ হাসের পুংলিংগ অবশ হয়ে বের হয়ে আসে।
চোখের পাতা ফুলে যায়, পানি পড়ে ও ময়লা জমে,ঘাড় পাশে বা পিছনের দিকে বেকে যায় ও মারা যায়।

চিকিৎসাঃ
চিকিৎসা দিলে ভাল রিজাল্ট পাওয়া যায় না।
টিকা;
১ম বার ২১-২৮দিনে,২য় বার ১৫ দিন পর মানে ৩৬-৪৩ দিনে বুকের মাংসে।পরবরতিতে ৪-৫ মাস পর পর।
সরকারী টিকা ১০০ডোজ,১০০ মিলি ডিস্টিল পানির সাথে মিশিয়ে বুকের মাংসে ১এম এল করে ইনজেকশন দিতে হবে।

৩।ডাক কলেরা;
এটি পাস্টোরেলা মাল্টোসিডা নামক ব্যাক্টেরিয়া দিয়ে হয়।মৃত্যহার ৫০%।৪ সপ্তাহের অধিক বয়সের হাস আক্রান্ত হয়।
#খাবার কমে যায় এবং জর আসে।
#পা প্যারালাইসিস হয় এবং সবুজ পায়খানা হয় ও পানি বেশি খায়।
চিকিৎসাঃ
জেন্টামাইসিন এবং পটেনশিয়াল সালফোনেমাইড( মাইকোনিড, কসুমিক্স ভাল কাজ করে।
টিকা;
১ম বার ৪৫-৬০ দিনে ,২য় বার বুস্টার ডোজ ১৫ দিন পর ৬০-৭৫ দিন পর,ডানার তলদেশে পালক এবং শিরা বিহীন স্থানে চামড়ার নিচে।পরবরতিতে ৪-৫ মাস পর পর।
১০০ ডোজ

৪।মাইকোটক্সিকোসিস;
হাস বাহিরে খায় বলে অনেক ছত্রাক আক্রান্ত খাবার এবং দূষিত পানি খেয়ে ফেলে ফলে সহজেই এরা আক্রান্ত হয়ে পড়ে।
#খাবার কম খায়,ডিম কমে যায়, খোসা পাতলা হয় ও ডিমে রক্ত দেখা যায়

#হঠাত মারা যায়
চিকিৎসাঃ
পুরান খাবার বাদ দিয়ে নতুন ভাল খাবার দিতে হবে এবং টক্সিনিল প্লাস পানিতে দিতে হবে ৫-৭ দিন।

৫।আমাশয়;
হাসে বাচ্চা আক্রান্ত হয়,টাইজেরিয়া পারনিসিয়া নামক প্রোটোজোয়া দিয়ে এ রোগ হয়।
লক্ষণঃ
#ওজন কমে যায়,খাবার কম খায়না,দুরবল হয়ে পড়ে এবং দাড়াতে পাড়েনা।
#প্রথমে সাদা ,পড়ে রক্ত মিশ্রিত পায়খানা করে ও মারা যায়।
চিকিৎসা
ই এস বি৩ ২-২.৫ গ্রাম প্রতিলিটার পানিতে সব সময় ৫ দিন ।

৬।বটুলিজম

৭।ডিম আটকে যাওয়া

৮।পায়ে সমস্যা মানে ভিটামিন নিয়াসিনের ঘাটতি হয় বাচ্চা অবস্থায়।

প্রধান সমস্যাঃ
রোগ হয়ে মারা যায়।
ন্সঠিকভাবে সব টিকা না দেয়া।
সব সময় ডা পাওয়া যায়না।

ফার্মসএন্ডফার্মার/০১অক্টোবর২০