টাঙ্গাইলে প্রতিটি বাড়ি যেন গরুর খামারে পরিণত হয়েছে

1939
ফাইল ফটো
ফাইল ফটো
ফাইল ফটো

টাঙ্গাইল : আসছে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে টাঙ্গাইলের চর ও গ্রামাঞ্চলের প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই প্রাকৃতিক উপায়ে গরু লালন-পালন করা হচ্ছে। প্রতিটি বাড়িই এখন একটি খামারে পরিণত হয়েছে।

অল্প কয়েক মাস গরু লালন পালন করে অধিক লাভজনক হওয়ায় প্রতিবছরই খামারের সংখ্যা বাড়ছে। এসব খামারে তৈরি হয়েছে অনেক লোকের কর্মসংস্থান। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এসব খামারের গরু অন্যান্য জেলার গরুর হাটগুলোতে যাচ্ছে বিক্রির জন্য।

কোরবানিতে দেশি গরুর চাহিদা বেশি থাকায় বেশিরভাগ খামারীরা কমবেশি লাভবান হয়েছেন। সেই সাথে গরুর উৎপাদন বৃদ্ধিতে সরকারের নানামুখী উদ্যোগ ও গরুর খামার লাভজনক হওয়ায় টাঙ্গাইল জেলার প্রায় প্রতিটি গ্রামেই বাণিজ্যিকভাবে গড়ে উঠেছে গরুর খামার।

এসব খামারের গরু সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে লালন পালন করা হচ্ছে। খাওয়ানো হচ্ছে দেশীয় খাবার খড়, খৈল, ভুসি, গুড়ের চিটা, লবণ, চাল-ডাল ও ছোলার-গুঁড়োসহ চাষ করা নেপিয়ার ঘাস। পশু চিকিৎসকের নির্দেশনা অনুযায়ী গরুগুলোকে দেয়া হয় চিকিৎসা। ব্যবহার করা হচ্ছে না মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর কোনো মেডিসিন। কোরবানির ঈদ মৌসুমের তিন থেকে চার মাস আগে থেকে এসব খামারে গরু পালন করা হয়। অবশ্য কেউ কেউ এক কোরবানির ঈদে খামারের গরু বিক্রি করে পরের মৌসুমের জন্য গরু পালন করা শুরু করেন।

প্রাকৃতিক উপায়ে মোটাতাজা করা দেশীয় জাতের গরুর চাহিদা বেশি ক্রেতাদের। এ কারণে হাটে নেয়ার সাথে সাথে বিক্রি হয়ে যায় এসব গরু। অনেক সময় খুচরা ক্রেতা ও পাইকাররা খামার থেকেই গরু কিনে নিয়ে যান।

খামারীরা জানান, গরুর খামারে তৈরি হয়েছে অনেক মানুষের কর্মসংস্থানেরও। গরুর পরিচর্চা করার জন্য খামারগুলো নিয়োগ দেয়া হয়েছে শ্রমিকদের। এতে তাদের দারিদ্র দূর হচ্ছে। বিদেশি গরুর আমদানি না হয় তাহলে আমরা খামারীরা অধিক লাভবান হবো।

টাঙ্গাইল জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এসএম আউয়াল হক বলেন, এসব খামারীদের স্থানীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তর প্রয়োজনীয় সহায়তা করছে। জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের হিসেব অনুযায়ী, জেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে ৪৫ হাজার গরু। টাঙ্গাইলের চর ও গ্রামাঞ্চলের খামারগুলোতে কোরবানির ঈদ উপলক্ষে লালন-পালন করা হচ্ছে ৬০ হাজার গরু। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে টাঙ্গাইলের দেশীয় জাতের গরু অন্য জেলাতেও যাচ্ছে বিক্রির জন্য। বিএসএস
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন