লাভজনক হওয়ায় এখন ব্রয়লার খামারের দিকে ঝুঁকছেন খামারীরা। তবে, এই পেশায় লাভ হলেও রোগের কারণে ক্ষতির পরিমাণও অনেক বেশি।ভ্যাকসিন দেওয়ার পরও অনেক খামারে রোগাক্রান্ত হয়ে মারা যায় ব্রয়লার। বিভিন্ন কারণে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
ভ্যাকসিন দেওয়ার পরেও ব্রয়লার মুরগি রোগাক্রান্ত হওয়ার কারণ:
ব্রয়লার খামারে ভ্যাকসিন সঠিক তাপমাত্রায় সংরক্ষণ না করলে বা অযত্নের কারণে ভ্যাকসিনের কোন ক্ষতি সাধন হলেও ভ্যাকসিন কার্যকারিতা হারিয়ে ফেলতে পারে। সেই ভ্যাকসিন মুরগিকে প্রদান করা হলে তা কাজে আসে না।খামারে প্রদান করা ভ্যাকসিন সঠিক মাত্রায় প্রয়োগ না করলে ব্রয়লার মুরগি আবার রোগে আক্রান্ত হতে পারে।
ভ্যাকসিন দেওয়ার অভিজ্ঞতা আছে এমন ব্যক্তির মাধ্যমেই ভ্যাকসিন প্রদান করতে হবে। তা না হলে ভ্যাকসিনের কার্যক্ষমতা নষ্ট হতে পারে।
দুর্বল কিংবা অসুস্থ মুরগিকে কোন রোগের ভ্যাকসিন প্রদান করা হলে সেই ভ্যাকসিন অনেক সময় কার্যকর হয় না। তাই সব সময় সুস্থ মুরগিকে ভ্যাকসিন প্রদান করতে হবে।
ব্রয়লার মুরগির খামার জীবাণুমুক্ত না হলে জীবাণুর প্রভাবে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা নষ্ট হতে পারে। সেজন্য ভ্যাকসিন প্রদানের আগেই খামার জীবাণুমুক্ত করতে হবে।ভালো ও উন্নত মানের ভ্যাকসিন না হলে তা মুরগির শরীরে ঠিকভাবে কাজ করে না। তাই খামারে ভালো মানের ভ্যাকসিন দিতে হবে।
ফার্মসএন্ডফার্মার/২৫জুন ২০২২