প্রশাসনের নজরদারি নিরবতায় ট্যানারী মালিক ও আড়তদারদের সাজানো কারসাজি ও সিন্ডিকেটের কারনে চামড়ার সংকট হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ক্যাব। এছাড়া দায়িদের শাস্তিও দাবি করেন এই সংগঠণটি।
রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানায় সংগঠণটি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, কাঁচা চামড়ার প্রকৃত মূল্য প্রাপ্তিতে বাঁধা সৃষ্ঠি, দেশীয় চামড়া শিল্পকে গুটিকয়েক ট্যানারী মালিকদের নিয়ন্ত্রণে নেবার ধারাবাহিক ষডযন্ত্র, স্থানীয় প্রশাসনকে নিরব রাখার কৌশলের কারনে ট্যানারী মালিক ও আড়তদারা পরস্পকে দোষারূপ করে চামড়া শিল্পে নজিবিহীন ধস নেমেছে। সরকার ট্যানারী মালিকদের বিপুল পরিমান ব্যাংক ঋন দিলেও তাঁরা আড়তদারদের কোন অর্থ প্রদান করেনি। আর আড়তদারদের বিপুল বকেয়া বিষয়ে তাঁরা এই বকেয়া আদায়ে কোন আইনী বা প্রশাসনিক প্রতিকার চায়নি। বিষয়টি অনেকটাই সাজানো গেম ছাড়া কিছু নয়।
ফলে বিপুল পরিমান কাঁচা চামড়া অবিক্রিত থেকে গেছে, অনেকেই দাম না পেয়ে রাস্তায় ও ডাস্টবিনে ফেলে দিয়েছে। অন্যদিকে বেসরকারী এতিমখানা ও মাদ্রসাগুলির আয়ের একটি বড় অংশ চামড়া সংগ্রহ ও বিক্রি। ট্যানারী মালিক ও আড়তদারদের এ চক্রান্তের কারনে গরীব ও মিসকিন ও এতিমের হক ধবংসের পাশাপাশি সম্ভাবনাময় চামড়া শিল্প মারাত্মক হুমকির মূখে পড়তে যাচ্ছে।
চামড়ার প্রকৃত মূল্য নিশ্চিত করতে কাঁচা চামড়া রূপ্তানির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে চামড়া রূপ্তানী হলে ট্যানারী মালিকদের কর্তৃত্ব ছাড়া সরকারী উদ্যোগে চামড়া রূপ্তানী করা এবং চামড়ার কারসাজিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ(ক্যাব) চট্টগ্রামের নেতৃবৃন্দ।
পবিত্র কোরবাতে ভয়াবহ চামড়া সংকটে সৃষ্ট জঠিলতায় ১৭ আগষ্ট এক জরুরী সভায় এই অভিমত ব্যক্ত করেন সংগঠণটির নেতাকর্মীরা।
ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসাইনের সভাপতিত্বে এ সভায় আরোও বক্তব্য রাখেন ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, দক্ষিন জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান, ক্যাব মহানগরের যুগ্ন সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম, ক্যাব চান্দগাঁও সভাপতি মো. জানে আলম, ক্যাব পাঁচলাইশের যুগ্ন সম্পাদক সেলিম জাহাঙ্গীর, ক্যাব চান্দগাঁও সহ-সভাপতি সেলিম সাজ্জাদ প্রমুখ।
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/জাকির