নাহিদ রেজা, ঠাকুরগাঁও থেকে: নতুন ফল ড্রাগন চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে ঠাকুরগাঁওয়ে কৃষকরা। এ ফল চাষে ইতোমধ্যে কৃষকের মধ্যে বেশ উৎসাহ জেগেছে।
জেলার হরিপুর, পীরগঞ্জ, রাণীশংকৈল, বালিয়াডাঙ্গী ও সদর উপজেলাসহ ৫টি উপজেলায় এখন ড্রাগন ফলের চাষ করছে স্থানীয় চাষিরা। নতুন এ ফলের চাষাবাদ দেখে অন্যান্য চাষিরাও উদ্বুদ্ধ হচ্ছে। আর এ ফল চাষে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের উৎসাহ প্রদান করা হচ্ছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও হর্টিকালচারের তথ্যমতে, জেলার ৫টি উপজেলায় প্রায় ৪ একর জমিতে ১০টি পদর্শনী প্লটে ড্রাগন ফলের চাষ করা হয়েছে। প্রতিটি গ্রাছে ৭০-৮০ টি ফল ধরে। এ ফল উৎপাদনে কিটনাষক ও সারের খরচ কম। জৈব সার দিয়েই এ ফল চাষাবাদ করা সম্ভব।
ড্রাগন ফল কমপক্ষে ৪শ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ড্রাগন ফল খেলে ডায়াবেটিস, ব্লাড পেশারসহ বিভিন্ন রোগের ওষুধ হিসেবে কাজ করে। বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলে ড্রাগন চাষ করে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখা সম্ভব।
সদর উপজেলার গড়েয়া ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের কৃষক মাজেদুর রহমান জানান, ড্রাগন ফল একটি নতুন ফল। এ ফল চাষে খরচ কম লাভ বেশি। তার কারণ হচ্ছে জৈব সারেই গাছ বেড়ে উঠে। তেমন একটা রাসয়নিক সার ব্যবহার করতে হয় না। ১০ ফিট অন্তর অন্তর একসাথে ৪টি গাছ রোপন করতে হয়।
গাছের সাথে সংযুক্ত করতে হয় পিলার। ৪টি গাছ জড়িয়ে রাখে একটি পিলারকে। মূলত এপ্রিল থেকে নভেম্বর পর্যন্ত মাসে দু’বার ফল তুলা যায়। মাঠ থেকেই ৪শ টাকা কেজি দরে ফল বিক্রি হচ্ছে। এটি একটি লাভজনক ফল। ৫০ বছর পর্যন্ত এ গাছ ফল দেয় বলে জানান কৃষি বিভাগ।
হর্টিকালচার বিভাগ থেকে চারা নিয়ে জেলার কৃষকরা রোপন করছে। ফলে দিন দিন এ ফলের চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
জেলা হর্টিকালচার বিভাগের বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আ. রহিম জানান, আমরা গত দু’ বছর ধরে এ ফল চাষে কৃষককে উদ্বুদ্ধ করছি। প্রথমে বিনামূল্যে চারা দিয়ে কৃষককে সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এ ফল চাষে এখন বেশ সাড়া পাচ্ছি।
অপরদিকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মাউদুদুল ইসলাম জানান, ড্রাগন ফল চাষাবাদে জেলার হর্টিকালচার বিভাগ প্রথম উদ্যোগ গ্রহণ করে। আমরা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে পরবর্তিতে সব ধরনের পরামর্শ প্রদান করছি। এ ফলের গুনাগুন ও লাভজন হওয়ায় কৃষকরাও উৎসাহী হয়ে উঠছে। আমরা আশা করছি আগামী মৌসুমে ড্রাগন ফল চাষ বৃদ্ধি পাবে।
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/এম