দারুন উপকারী কুসুম ফুল পরিত্যক্ত মাঠ কিংবা ঘাসবনে আপনা আপনিই জন্মে। তাছাড়া কুসুম ফুল নদীর তীরে, পাহাড়ের ঢালে, কৃষিজমিতে, বসতবাড়িতে এমনকি টবেও লাগানো যায়।
ঐতিহ্যগতভাবে বীজের জন্যই কুসুম ফুলের চাষ করা হয়। এর বীজ খাদ্যদ্রব্য রঙিন ও সুঘ্রাণযুক্ত করতে এবং ঔষধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। তাছাড়া এর বীজ থেকে তেল ও সংগ্রহ করা হয়।
অনেক সময় মশলা হিসেবে জাফরানের পরিবর্তে কুসুম ফুল ব্যবহার করা হয়। পৃথিবীর বহুদেশে এটাকে জাফরান নামে বিক্রি করে ঠকানো হয়। মসলা হিসাবে এটার কোন মূল্য নাই কিন্তু রং করার ক্ষমতার কারণে অনেক সময় অনেকে ধোঁকা খায়।
কুসুম ফুলের কিছু ঔষধি গুনাবলীও রয়েছে। গরম পানিতে এর নির্যাস শরীর থেকে ঘাম নির্গত করে বলে ঠান্ডাজনিত রোগশোকে ব্যবহৃত হয়। শিশু জন্মের পর এর বীজের পাউডার একটা কাপড়ে নিয়ে গরম করে সেঁক দিলে ব্যথা উপশম হয়। এর ফুল আবার জন্ডিসের জন্য উপকারী।
বর্তমানে জিন প্রযুক্তির মাধ্যমে বিশেষ প্রজাতির কুসুম ফুলের জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে যার থেকে ডায়াবেটিসের মহৌষধ ইনসুুলিন উৎপাদন করা হবে।