- ডিমে অধিক পুষ্টিকর ও গুনগত মানসম্পন্ন খাদ্যের সন্নিবেশ ঘটে।
- ডিম অন্যান্য যে কোন অধিক পুষ্টিকর খাবারের থেকে দামে সস্ত।
- ডিম সহজে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পরিবহন করা যায়।
- ডিমে কৃত্রিম কোন বস্তু ব্যাবহার করা যায় না।
- দাম কম বলে সহজে কেনা যায়। বর্তমান বিঞ্জানীরা ডিমের কোলেষ্টেরল, চর্বি ও লবনের পরিমান কমেয়ে এবং
- এন্টিঅক্রিডেন্ট, ভিটামিন ও ক্যালসিয়ামের পরিমান বাডিয়ে ডিমকে আরো পুষ্টিকর ও সুস্বাদু করার চিন্তা ভাবনা চলছে।
ডিম সম্পর্কে আরো নতুন তথ্য নীচে বর্ণিত হল-
- বয়স্ক মাহিলারা যারা প্রাণীজ প্রোটিন গ্রহন করে , তাদের দেহের প্রয়োজনীয় প্রোটিন অপেক্ষাকৃত কম সংশোধিত হয়।
- গর্ভবতী মায়েরা যারা কম পরিমানে প্রাণীজ প্রোটিন গ্রহন করে তাদের ভুমিষ্ট সন্তানের ওজন স্বাভাবিকের তুলনায় কম ঘটে।
- উচ্চমানের প্রটিন (যেমন: ডিম) খেলে মাংসপেশী ক্ষয়প্রাপ্ত কম ঘটে।
- মায়ের বুকের দুধ সবেমাত্র ছাড়া শিশুদের জন্যে ডিমের কুসুম একটি আদর্শ আয়রন এর উৎস হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
- ডিমের মধ্যস্থিত কোলিন মানবদেহের মস্তিস্কের উদ্দীপনা ও গঠন স¥ৃতি রক্ষাকারী কোষ ও আলঝিমার‘স ডিজিজ থেকে রক্ষা করে।
- ডিমের লিউটন এবং যিয়ায্যানথিন মধ্যবয়স্ক ব্যক্তিদের চোখ ভাল রাখতে সহায়তা করে। পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে, প্রতিদিন ১.৩ টি ডিম খেলে পাজমা যিয়ায্যানথিন ১২৮% বৃদ্ধি পায়।
ডিম মানুষেরদেহে এন্টিবডি তৈরীতে সাহায্য করে। বিশ্বে ডিম উৎপাদনের হালচাল: ১৯৬১ হতে ২০০১ সনের মধ্যে পৃথিবীতে ডিমের বার্ষিক উৎপাদন প্রতিবছর ৩.৫ গুন বেড়ে ৫৭ মিলিয়ন টনে দাঁড়ায়। এফএও (জাতি সংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থ) ধারনা করে ২০১৫ সালে ডিম উৎপাদন ২৪% এবং ২০৩০ সনের মধ্যে আরো ২৮% বেড়ে যাবে। উন্নত দেশগুলোর উন্নত প্রযুুক্তি ব্যবহারের কারণে বিশ্বে ডিমের উৎপাদন বাড়ানো সম্ভাব হয়েছে। এশিয়াতে ডিম উৎপাদন ১৩৬১ সালে ছিল ৩৮০ মিলিয়ন টন যা প্রতি বছর প্রায় ৮% বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর পিছনে এই শিল্পে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারই প্রধান কারণ। ২০৩০ সালের মধ্যে আরো ৫০% বাড়াবে বলে আশা করা যায়।