দিশেহারা পটুয়াখালীর তরমুজ চাষিরা

712

download
করোনাভাইরাসের প্রভাব দিশেহারা হয়ে পড়েছেন পটুয়াখালীর উপকূলীয় অঞ্চলের হাজার হাজার তরমুজ চাষী। সরকারী সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর থেকে যা পুরোদমে প্রভাব পড়েছে এই এলাকার প্রান্তিক চাষিদের উপর।

এবারের মরসুমে পটুয়াখালীর উপকূল এলাকা জুড়ে মোট ২২ হাজার হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ হয়েছে। ভাইরাসের কারণে পরিবহণ সংকট এবং ক্রেতা না থাকায় বেশ বিপাকে পড়েছেন চাষিরা। ধারদেনায় একদম দিশেহারা প্রান্তিক চাষিরা।

কৃষি বিভাগ সূত্রে জানাগেছে, রাঙ্গাবালী উপজেলায় ৮ হাজার হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। কৃষি বিভাগের পরিসংখ্যান মতে ৮ হাজার হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ করতে ১০০ কোটি টাকা খরচ হওয়ার কথা। এবছর লাভের প্রত্যাশা ছিল ২৫০ কোটি টাকারও অধিক। এ পর্যন্ত ৫% তরমুজ বিক্রি হয়েছে, বাকি তরমুজ ক্ষেতে রয়েছে।

রাঙ্গাবালী উপজেলার কাউখালী চরের তরমুজ চাষী ইব্রাহিম হাওলাদার জানান, তিনি এবছর ৩ কানি জমিতে তরমুজ দিয়েছেন। তাতে খরচ হয়েছে প্রায় ৬ লাখ টাকা। সে এখনো পর্যন্ত কোন তরমুজ বিক্রি করতে পারেননি।

করোনাভাইরাসের কারণে যদি এমন স্থিতিবস্থা চলতে থাকে তাহলে বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে বলে আশংকা প্রকাশ করছেন চাষিরা। চাষিরা বলছেন তরমুজ চাষ করতে বিভিন্ন জনের কাজ থেকে ধার করা ছাড়াও বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে তরমুজের চাষ করা হয়েছে কিন্তু দেশের যে পরিস্থিত তাতে লাভ তো দূরে থাক সামনের দিন গুলো কিভাবে কাটবে সেটাই অনিশ্চিত ।

কৃষি কর্মকর্তা মো.মনিরুল ইসলাম জানান, তরমুজ পেকে গেলেই নষ্ট হয়ে যায়না। কিছু দিন সংরক্ষণ করা যায়। কাটার পারেও ৭/৮ দিন রাখা যায়। এবং গাছে নিয়মিত পানি দিয়ে রাখলে একটু দেরীতে কাটলেও সমস্যা হয়না। তিনি আশাপ্রকাশ করছেন শীঘ্রই এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

ফার্মসএন্ডফার্মার/২৮মার্চ২০