ধানের ব্যাকটেরিয়া জনিত পোড়া রোগ = Bacterial leaf blight of Rice
লক্ষণ
পাতার কিনারায় পানি ভেজা দাগগুলো ক্রমশ ঘোলাটে রং ধারন করে।
পাতার দুই কিনারা সহ গোটা পাতাতেই লহ্মণ পরিস্ফুটিত হয়।
ঝলসানো পাতাগুলো ধুসর সাদাটে রং ধারন করে এবং খরের ন্যায় হয়।
গাছের পরিবহন কলাগুচ্ছ ব্যাক্টেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হয়।
আক্রান্ত পাতার অংশ মাইস্ক্রোস্কোপে দেখলে অসংখ্য ব্যাক্টেরিয়া দেখা যায়।
ধানের গুনগত মান ও ফলন কম হয়।
রোগ চক্র
বীজ, মাটি, পানি এবং বায়ু বাহিত।
কাদাতে রোগের জীবানু অনেক দিন বেঁচে থাকতে পারে।
গাছের হ্মতস্থান দিয়ে রোগের প্যাথোজেন অনুপ্রবেশ করে।
পটাশ সারের ঘাটতি এবং নাইট্রোজেনের আধিক্য রোগ বিস্তারে সহায়ক।
ঝড়ো হাওয়ায় রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পায়।
২৬-৩০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেট তাপমাত্রায় রোগ বৃদ্ধি পায়।
প্রতিকার
সুস্থ্য ও নীরোগ বীজ বপন করা।
কার্বেন্ডাজিম ৫০ডব্লিউপি ৩ গ্রাম/ লিটার পানি/কেজি বীজ ভিজিয়ে শোধন করা
আক্রান্ত জমির খর কুটা পুড়িয়ে ফেলা।
শস্য পর্যায় অবলম্বন করা।
রোগ প্রতিরোধী জাত ব্যবহার করা।
সুষম মাত্রায় সার ব্যবহার করা।
ঝড়-বৃষ্টি এবং রোগ দেখা দেয়ার পর ইউরিয়া সারের উপরি-প্রয়োগ বন্ধ রাখুন।
কৃসেক হলে আক্রান্ত জমির পানি শুকিয়ে ৭-১০ দিন পর আবার সেচ দিন।
পটাশ+থিয়োভিট+চিলেটেড জিং=৫+৪+১ গ্রাম/ লিটার পানিতে মিশে স্প্রে করা।
কপার অক্সিক্লোরাইড৫০ডব্লিউপি(ব্লাইটক্স / কুপ্রাভিট / সালটক্স/ সলুকক্স / সানভিট/
ব্লুকাপ/ অক্সিভিট) অন্য যে কোন একটি ২ গ্রাম/ লিটার পানিতে মিশে স্প্রে করাব্যাক্ট্রিওমাইসিন এসসি( কেসাইক্লিন/ এন্টিব্যাক/ টেট্রাসাইক্লিন/ ক্রোসিন) অন্য যে কোন একটি ১ গ্রাম/ ১০ লিটার পানিতে মিশে স্প্রে করা।
ফার্মসএন্ডফার্মার/১৩এপ্রিল২০