নওগাঁয় আউশ ধান চাষে লোকসানের মুখে চাষিরা

327

আউশ

আব্দুর রউফ রিপন, নওগাঁ সংবাদদাতা: নওগাঁর রাণীনগর উপজেলায় আউশ (বর্ষালি) ধান কাটা-মাড়াই প্রায় শেষের দিকে। তাড়াহুড়ো করে আমন ধান লাগানোর জন্য ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। এবার ধানের ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় বিঘা প্রতি প্রায় দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে কৃষকদের। এতে করে আগামী আউশ ধান আবাদে আগ্রহ হারাতে পারে কৃষকরা।

জানা গেছে, এবছর উপজেলার প্রায় ৩ হাজার ২শ ২০ হেক্টর জমিতে আউশ (বর্ষালি) ধানের আবাদ করা হয়েছিল। ধান রোপনের শুরু থেকেই বৈরী আবহাওয়া এবং বিভিন্ন রোগ-বালাইয়ে আক্রান্ত হওয়ার কারণে ধানের গাছ দুর্বল হয়ে পড়ে। এত করে ফলনে ঘটেছে বির্পযয়।

এ বছর আউশ ধান বিঘা প্রতি ১২ থেকে ১৪ মণ হারে ফলন হয়েছে। অথচ এক বিঘা জমিতে ধান উৎপাদন করতে খরচ হয়ে থাকে ৭ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত। বাজারে গত বছরের চেয়ে এবছর ২ থেকে ৩শ টাকা কম দামে ধান বিক্রি হচ্ছে। শুরুতেই প্রতি মণ ধান বিক্রি হচ্ছে ৫শ থেকে ৬শ টাকা দরে। ফলে উৎপাদন খরচ এবং ধানের ফলন বিপর্যয়ের কারণে বিঘা প্রতি প্রায় দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা করে লোকসান গুনতে হচ্ছে কৃষকদের।

উপজেলার বেলাঘড়িযা গ্রামের কৃষক মো. হাসান আলী ও এরশাদসহ অনেকেই জানান, এ বছর আউশ ধানের ফলন প্রতি বিঘায় প্রায় ১২ থেকে ১৩ মণ হারে হচ্ছে। ধান কাটা-মাড়াই প্রায় শেষের দিকে। ধানের দাম না থাকার কারণে বাজারে ৫শ থেকে ৬শ টাকা দরে ধান বিক্রি করে বিঘাপ্রতি প্রায় দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা করে লোকসান হবে আমাদের।

এ ব্যাপারে রাণীনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, অনেক বৈরী আবহাওয়ার পরও এবছর আউশ ধানের ফলন ভালো হয়েছে। সম্প্রতি উপজেলার কিছু নিম্নাঞ্চল ভারী বর্ষনের কারণে প্লাবিত হওয়ায় ধানের কিছুটা ক্ষতি হলেও ফলনের তেমন কোন তারতম্য হয়নি। কিন্তু ধানের দাম না থাকায় কৃষকরা কিছুটা লোকসানের মুখে পড়েছে।

ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন