নওগাঁ বদলগাছীতে বোরো ধান কর্তন

472

Badolgasi

মো. দেলোয়ার হোসেন, নওগাঁ প্রতিনিধি: উপজেলা কৃষি অফিসের উদ্যোগে গত ৯ মে নওগাঁর বদলগাছীস্থ ডাড়িশন গ্রামের মো. সুজাউল ইসলামের জমিতে জিরাশাইল জাতের বোরো ধান কর্তন করা হয়। এ উপলক্ষে উপজেলা কৃষি অফিসের উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লা আল মুতির সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. হাসান আলী ও বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ মোছা. সালমা আক্তার।

প্রধান অতিথি বলেন, নওগাঁ জেলা খাদ্য উদ্বৃত্ত এলাকা হিসেবে পরিচিত। জেলার মধ্যে বদলগাছীতে সব মৌসুমেই লক্ষমাত্রার চেয়ে বেশি ধান উৎপাদন হয়ে থাকে। গত কয়েক বছর যাবত এ উপজেলা খাদ্যে উদ্বৃত্ত এলাকা হিসাবে স্থান করে নিয়েছে। এবছরেও উপজেলায় ১৩ হাজার ১ শ’ ১০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষমাত্রা ছিল, যেখানে আবাদ হয়েছে ১২ হাজার ১ শ’ ৮০ হেক্টর জমিতে, যা থেকে ৮০ হাজার ৩ শ’ ৮৮ মে.টন ধান পাওয়া যাবে। তিনি উপস্থিত কৃষকভাইদের বোরো ধান উৎপাদনের পাশাপাশি গম, ভুট্টা, ডাল, তেল, রকমারি শাকসবজি ও বিভিন্ন ফল বাগান স্থাপনের অনুরোধ জানান। বিশেষ অতিথি বলেন, বাংলাদেশের প্রধান ফসল হচ্ছে ধান; তাই ধান উৎপাদন করতেই হবে। পাশাপাশি বিভিন্ন শাকসবজি চাষে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। এ ব্যাপারে কৃষি বিভাগের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কৃষকদের পাশে থেকে সহযোগিতা করা আশ্বাস দেন তিনি। আলোচনা অনুষ্ঠানে কৃষক মো. সুজাউল ইসলাম উপস্থিত কৃষি কর্মকর্তা ও আলোচনা সভার আয়োজনকারি কর্মকর্তাদের ভূয়শী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, এ ধরনের আলোচনা সভা থেকে ধান উৎপাদনের বিভিন্ন কৌশল সর্ম্পকে খুব সহজেই জ্ঞানার্জন সম্ভব। কাজেই বিভিন্ন মৌসুমে বিভিন্ন ফসলে এ ধরনের আলোচনা সভা বেশি বেশি করে আয়োজন করার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে রৌদ্রজ্জল সকালে কৃষক মো. সুজাউল ইসলামের জমিতে এক অনাড়ম্বর পরিবেশে ২০ বর্গমিটার মাপের জমিতে জিরাশাইল জাতের বোরো ধান কর্তন করা হয়। কর্তন করে মাড়াই ঝাড়াই শেষে শুকনা ধানের ফলন হেক্টর প্রতি ৬.৬০ মে.টন পাওয়া যায়। অনুষ্ঠানে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও এলাকার প্রায় দু’শতাধিক বোরো ধান চাষি উপস্থিত ছিলেন।