নওগার রানীনগর উপজেলায় ল্যাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রায় ১২টি গরু মারা যাওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে। উপজেলাজুড়ে এ রোগের ব্যাপক প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিষেধকের অভাবে উপজেলাজুড়ে এ রোগ ছড়িয়ে পড়ছে বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।
জানা যায়, ল্যাম্পি স্কিন রোগের লক্ষন হিসেবে প্রথমে গরুর গায়ে ছোট ছোট ফুসকুরি দেখা দেয়। খুব দ্রুতই এগুলো গরুর পুরো শরীরে ছড়িয়ে পরে। দু-এক দিনের মধ্যেই গরুর পুরো শরীরে থাকা গুটিগুলো ঘায়ে পরিণত হয়। এ সময় গরুর শরীরে অতিরিক্ত তাপমাত্রা দেখা দেয় এবং গরু খাওয়াদাওয়া ছেড়ে দেয়। অনেক সময় গরুর বুকের নিচে পানি জমে ক্ষত সৃষ্টি হয়। ক্ষতস্থান পচে গিয়ে সেখান থেকে মাংস খসে খসে পড়ে। সঠিক সময়ে উপযুক্ত চিকিৎসা বা রোগের লক্ষন বুঝতে না পারায় বেশ কিছু গরু ইতিমধ্যে মারা গেছে।
গ্রামের হামিদুল হক জানান, তাঁর চারটি গরুর গায়ে গুটিবসন্তের মতো গুটি বের হয়েছে। বিষয়টি রানীনগর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়কে জানানো হলেও কেউ আসেননি। তিনি জানান, স্থানীয় চিকিৎসক দিয়ে গরুর চিকিৎসা করাতে তাঁর প্রায় ২৬ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এরপরও একটি গরু মারা গেছে।
ল্যাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত হয়ে ওই গ্রামের নাজিদুল হকের একটি, বাবলু হোসেনের একটি, আবদুর রাজ্জাকের একটি, সাইফুল ইসলামের একটিসহ ১০-১২টি গরু মারা গেছে। উপজেলার অলংকার দীঘি, উজালপুর, আতাইকুলা কালীগ্রাম, বড়িয়াপাড়া, কয়াপাড়া, হরিপুর, খট্টেশ্বরসহ অনেক গ্রামে এই রোগ ছড়িয়ে পড়েছে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, প্রাণিসম্পদ দপ্তরের হিসাব অনুযায়ী ল্যাম্পি স্কিন রোগে এ পর্যন্ত ১০৫টি গরু আক্রান্ত হয়েছে। তবে এ রোগে কোথাও গরু মারা যাওয়ার খবর তাঁদের জানা নেই। এলাকার মানুষকে সচেতন করতে ইতিমধ্যে প্রচারপত্র বিতরণ ও সভা-সেমিনারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ রোগের ভ্যাকসিন না থাকায় রোগটির প্রকোপ দ্রুত বিস্তার লাভ করছে এবং সে অনুযায়ী পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
ফার্মসএন্ডফার্মার২৪/জেডএইচ