নরসিংদি প্রতিনিধি: জেলায় বিরিধান ৬২ ও বিনা ধান-৭ তোলা শুরু হয়েছে। নভেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে পুরোদমে ফসল তোলা হবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা জানান, এখন ফসল ঘরে তোলার জন্য প্রস্তুত। এ বছর আমন ধানের আবাদও ভাল হয়েছে।
ডিএই’র উপপরিচালক লাতাফাত হোসেন বলেন, জেলায় ইতোমধ্যেই পাঁচ থেকে ছয় শতাংশ আমান ধান তোলা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ১ নভেম্বর থেকে জেলার মনোহরদি উপজেলার শোকান্দি ইউনিয়নে একটি সাধারণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আমন ধান ব্রি ধান-৬২ তোলা শুরু হয়েছে। প্রতি হেক্টর জমিতে এ বছর প্রায় ৩.৫০ থেকে ৪ মেট্রিক টন ধান উৎপাদিত হয়েছে।
কৃষকরা আমনের এই উৎপাদনে খুব খুশি। জেলা অনুকূল আবহাওয়া বিরাজ করায় এটা সম্ভব হয়েছে।
ডিএই সূত্র জানিয়েছে, এ বছর কৃষকরা ৪১ হাজার ২শ’ ৫০ হেক্টর জমিতে হেক্টর জমিতে ধান চাষ করেছে, যা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের লক্ষ্যমাত্রাকে ছাড়িয়ে গেছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ৩৯ হাজার ৪শ’ হেক্টর জমিতে ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল।
ডিএই’র উপপরিচালক আশা করছেন যে নভেম্বর মাসে আবহাওয়া প্রতিকূল না হলে জেলায় এক লাখ টনের বেশি আমন ধান উৎপন্ন হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন (বিএডিসি) যথাসময়ে ন্যায্যমূল্যে মানসম্মত বীজ সরবরাহ করে এবং বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকসহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংক সহজ শর্তে কৃষকদের ঋণ দেয়।
পাশাপাশি কৃষকদের মাঝে সার, কীটনাশক ও অন্যান্য কৃষি সরঞ্জাম বিতরণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এছাড়াও ডিএই আধুনিক পদ্ধতিতে ধান চাষের ওপর কৃষকদের প্রশিক্ষণও দিয়ে আসছে।
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/এম