নরসিংদীতে ‘ভেজাল’ সার-কীটনাশক জব্দ, কারখানায় সিলগালা

419

fdfed84d27756b195d010e0bf7ff5d40-5a6ca0b40991920180127222150

নরসিংদী থেকে: ভেজাল রাসায়নিক সার ও কীটনাশক তৈরি সন্দেহে নরসিংদীর পলাশে একটি কারখানায় তালা দেওয়া হয়েছে। এ সময় রাসায়নিক সার ও কীটনাশকও জব্দ করা হয়।

শনিবার (২৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় সেকান্দরদী জালঘাটা বাজার এলাকায় মেসার্স এমকে এগ্রো প্রোডাক্টস নামের কারখানাটিতে তালা দেয়া হয়।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক লতাফত হোসেন এ খবর নিশ্চিত করেছেন।

কারখানা থেকে জব্দ সারের প্যাকেটলতাফত হোসেন জানান, ওই কারখানাটিতে দীর্ঘদিন ধরে দস্তা সার, এসওপি সার, বোরাক্স, বোরুন, জিংক মনো, ম্যাগ, ফুরান, কভার ভিট, সালফার, জিংকসহ ১৭ ধরনের রাসায়নিক সার ও কীটনাশক তৈরি এবং প্যাকেটজাত করে বাজারজাত করা হচ্ছিল। স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে ভেজাল ও নকল পণ্য তৈরি করার সন্দেহে কারখানাটি পরিদর্শনে যান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা।

এসময় কারখানাটিতে পণ্য তৈরির ঠিক পদ্ধতি লক্ষ্য করা যায়নি এবং কারখানার মালিক কাজলকেও খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরে কারখানাটিতে তৈরি করা ১৭ ধরনের কীটনাশক ও রাসায়নিক সারের মধ্যে ৯ ধরনের পণ্য জব্দ করা হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য জব্দ কীটনাশক ঢাকার মৃত্তিকা সম্পদ ইনস্টিটিউটে পাঠানো হবে। ভেজাল প্রমাণিত হলে কারখানা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সার কারখানাগজারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বদরুজ্জামান ভূঁইয়া জানান, কারখানাটিতে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক সার ও কীটনাশক তৈরি এবং বাজারজাত করা হচ্ছিল। কারখানাটি ট্রেড লাইসেন্সও নেয়নি।

পলাশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম বলেন, “খবর পেয়ে কারখানাটি পরিদর্শন করি। প্রাথমিকভাবে ঠিক নিয়মে পণ্য উৎপাদন করার কোনও আলামত খুঁজে পাওয়া যায়নি। মালিককে না পাওয়ায় কারখানাটির পক্ষে বৈধ কোনও অনুমোদন আছে বলেও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সন্দেহবশত এসব রাসায়নিক সার ও কীটনাশক জব্দ করা হয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।”

এ প্রসঙ্গে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে কারখানা মালিক কাজল মিয়া বলেন, “আগেও কৃষি কর্মকর্তারা আমার কারখানা পরিদর্শন করেছেন। কারখানার যাবতীয় নিয়ম মেনেই আমি ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি। কারখানার সব ধরনের লাইসেন্সও রয়েছে। আমি এখন এলাকার বাইরে আছি, পরে যোগাযোগ করবো।”

ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/এমএস