নাটোরের বাগাতিপাড়ায় মাল্টার পর এবার কমলায় সাফল্য

319
ছবি: সংগৃহিত
ছবি: সংগৃহিত
ছবি: সংগৃহিত

নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলায় মাল্টা চাষের পর এবার কমলা চাষের সাফল্যে চমক সৃষ্টি হয়েছে। সাধারণত এ অঞ্চলে কমলা চাষ না হলেও উপজেলার রহিমানপুর গ্রামের সাজেদুর রহমান নিজ উদ্যোগে কমলা বাগান করে সফলতা পেয়েছেন। ফলে তিনি কমলা বাগান বৃদ্ধির পরিকল্পনা নিয়েছেন। তার এ সফলতায় আরো অনেকের মধ্যে কমলা চাষের আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। সম্ভবানাময় ফসল হিসেবে ভবিষ্যতে এ ফল চাষ আরো সম্প্রসারণ হতে পারে বলে কৃষি কর্মকর্তাদের আশা।

কৃষক সাজেদুর রহমান জানান, তিনি ২০১৬ সালে দিনাজপুর থেকে সংগৃহীত নাটোরের কোহিনুর নার্সারি থেকে চারা সংগ্রহ করে কমলা চাষ শুরু করেন। বাড়ির পাশে লিজ নেওয়া সোয়া দুই বিঘা জমিতে উপজেলায় প্রথম চাষী হিসেবে তিনি চারশ গাছের কমলা বাগান করেন।

গত বছরেই অল্প কিছু গাছে কমলা ধরা শুরু করে। ওই বছর তিনি কেজি প্রতি ৮০ টাকা দরে সাত মণ কমলা বিক্রি করেছেন।

চলতি বছর তার বাগানের সব কটি গাছে কমলা এসেছে। ইতোমধ্যে কমলা বিক্রি শুরু করেছেন তিনি। চলতি বছরে বাগান থেকেই কেজি প্রতি ৭৫ থেকে ৮০ টাকা দরে কমলা বিক্রি হচ্ছে। তিনি এ বছর ৭০ থেকে ৮০ মণ ফলনের আশা করছেন। মাত্র ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা খরচ করে উৎপাদিত কমলা ২ লাখ ৫০ হাজার টাকায় বিক্রির আশা করছেন তিনি।

হালকা টক মিশ্রিত সুমিষ্ট এ ফলের স্থানীয় বাজারে চাহিদা থাকায় এ বছর তিনি প্রায় দ্বিগুণ জমিতে কমলা চাষের পরিকল্পনা নিয়েছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোমরেজ আলী জানান, বেশ কয়েক বছর আগেই এ উপজেলায় মাল্টা চাষে সফলতা এসেছে। মাল্টার পর এবার কমলা চাষে সফলতা এলো। সাধারণত এ অঞ্চলে কমলা চাষ হয়না। কি ন্তু কৃষক সাজেদুরের সফলতায় চমক সৃষ্টি হয়েছে। বাজারে চাহিদা থাকায় সম্ভবানাময় ফসল হিসেবে ভবিষ্যতে এ ফল চাষ আরো সম্প্রসারণ হতে পারে। বিপি

ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন