পণ্যের উৎপাদন এবং কৃষকের উৎপাদিত পণ্য যখন বাজারে নিয়ে যায় তখন একই পণ্য আমদানি করা হলে কৃষক তার উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হয়, কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সে ক্ষেত্রে ফসলের উৎপাদন সময় ও বাজার জাতের সময় এবং চাহিদার সঙ্গে উৎপাদন নিরূপণ করে আমদানির অনুমোদন দেয়া প্রয়োজন। যে কোনো কৃষি পণ্য উৎপাদনের সময় ওই পণ্য আমদানির অনুমোদন দেয়া বন্ধ রাখতে হবে।
গত বুধবার কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জমান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে চাল, গম, ভুট্টা, আম, মৌসুমভিত্তিক শাক-সবজি, পেঁয়াজ, রসুন, আদা বাজারজাতকরণের নিমিত্তে উৎপাদন ও আমদানি সামঞ্জস্যতা নির্ধারণের বিষয়ে সভায় এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, কৃষিকে লাভজনক এবং কৃষককে বাঁচিয়ে রাখতে হলে এখন থেকেই পরিকল্পনা মাফিক উদ্যোগ নিতে হবে। কৃষিজাত পণ্যের রপ্তানির জন্য প্রয়োজন নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন; এ জন্য অনুমোদনবিহীন কীটনাশক বাজারে প্রবেশ বন্ধ করতে হবে। কন্ট্রাক ফার্মের মাধ্যমে কৃষিপণ্য উৎপাদন করে একদিকে যেমন নিরাপদ খাদ্য প্রাপ্তি হবে অপরদিকে রপ্তানির বাজার প্রসারিত হবে।
এ ছাড়াও কৃষি কর্মকর্তারা নিয়মিত অননুমোদিত কীটনাশক বিক্রি রোধে সক্রিয় থাকতে হবে। অননুমোদিত কীটনাশক ব্যবহার রোধে কৃষকদের উৎসাহিত করতে হবে। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের একজন সদস্য সভায় বলেন, কৃষি পণ্যে ভারী ধাতুর উপস্থিতি উদ্বেগের বিষয়। কীটনাশক আমদানি পর্যায়ে ল্যাব টেস্টের কোনো ব্যবস্থা নেই, ল্যাব টেস্ট বাধ্যতামূলক হওয়া উচিত।
সভায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিববৃন্দ, অধীনস্ত দপ্তরের দপ্তর প্রধানরা, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য, বিএসটিআই, পরিসংখ্যান বর্ুযোর প্রতিনিধিসহ ও গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
ফার্মসএন্ডফার্মার২৪/জেডএইচ