পাবনা জেলা প্রশাসকের সঙ্গে খামারীদের মতবিনিময় সভা

310

PABNA-PHOTO-DC-WITH-FARMAR-07-01-18

আমিনুল ইসলাম জুয়েল, পাবনা থেকে: পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার সফল ও জাতীয় পদকপ্রাপ্ত খামারীরা পাবনার নবাগত জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দীনের সাথে মতবিনিময় করেছেন।

রোববার বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ কৃষক উন্নয়ন সোসাইটির সভাপতি ও বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পদক প্রাপ্ত সফল কৃষক ছিদ্দিকুর রহমান কূল ময়েজের সভাপতিত্বে কৃষক ও খামারীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত সফল কৃষক বেলী বেগম, বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পদক প্রাপ্ত কৃষক হাবিবুর রহমান, বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পদক প্রাপ্ত সফল কৃষক জাহিদুল ইসলাম গাজর জাহিদ, বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষিপদকপ্রাপ্ত সফল কৃষক রাজিব মালিথা পোল্ট্রি রনি, বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষিপদকপ্রাপ্ত সফল কৃষক আলহাজ রবিউল ইসলাম, পোল্ট্রি চাষি আলহাজ আব্দুল হাকিম, মৎস্য চাষি আবু তালেব জোয়াদ্দার, মৎস্য চাষি কবির মালিথা, সুলতানা ইয়াসমিন শিল্পী, সোলায়মার হোসেন ও সাইদার হোসেন বাবুসহ ঈশ্বরদীর বিভিন্ন স্তরের কৃষক।

এছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পাবনা সদর উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল মামুন, চ্যানেল আই ও যুগান্তর এর পাবনা প্রতিনিধি আখতারুজ্জামান আখতার, ঈশ্বরদী পৌরসভার কাউন্সিলর আবুল হাসেম, সিআইজি ঈশ্বরদী শাখার সভাপতি মুরাদ মালিথা প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, কৃষকের উৎপাদিত সকল পণ্যেই বর্তমানে লোকসান হচ্ছে। এরপর তা হাট-বাজারে বিক্রি করতে গেলে খাজনার নামে ইজারাদারের লোকেরা কৃষকদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছেন শতকরা দশ টাকা। এক দিনের একটি বাচ্চাসহ একটি গরু বিক্রি করলেও খাজনা গুনে দিতে হয় ১ হাজার টাকা। কৃষি পণ্য বিক্রির পর কৃষকের কাছ থেকে খাজনা নেয়া সরকারের পক্ষ থেকে নিষেধ থাকলেও ইজারাদারের লোকেরা সরকারি নিয়ম উপেক্ষা করে তাদের ইচ্ছেমতো খাজনা আদায় করছেন।

মাঠ থেকে অটোভ্যানে করে করে কৃষি পণ্য হাটে আনতে গেলেও পুলিশি বাধা সৃষ্টি করায় কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কাঁচামালের ট্রাক থেকে চাঁদা রোধে কৃষকেরা জেলা প্রশাসকের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

সরকার কর্তৃক রাসায়নিক সারের মূল্য নির্ধারণের পরেও ব্যবসায়ীরা বস্তা প্রতি দুই থেকে পাঁচশ টাকা বেশি নিচ্ছেন। কৃষকরা কৃষি বীমা ও কৃষি হিমাগারের জোর দাবি তোলেন।

এর আগে ঈশ্বরদীর কৃষকেরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে তাদের খামারে উৎপাদিত বিভিন্ন ধরনের ফলমূল, শাক, সবজি, মসলা, মাছ, ডিম ও দুধ প্রদর্শনীর আয়োজন করেন।

টার্কি খামার: এখনই প্রয়োজন সঠিক নীতিমালা

ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন