সেখ জিয়াউর রহমান, রংপুর প্রতিনিধি: প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কুড়িগ্রামের সহযোগিতায় হ্যাচারিসহ আঞ্চলিক হাঁস প্রজনন খামার স্থাপন প্রকল্পের অর্থায়নে জেলার নাগেশ্বরী অফিসে দুই দিনব্যাপী পারিবারিক পর্যায়ে হাঁস পালন বিষয়ক খামারী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এম এ কাদেরের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা দীপক রঞ্জন রায়।
এ প্রশিক্ষণে কুঁড়িগ্রামের বিভিন্ন উপজেলা থেকে ৪৬ জন খামারি অংশ নেন। প্রধান অতিথি বলেন, আধুনিক পদ্ধতিতে উন্নত জাতের হাঁস পালন বেশ লাভজনক। হাঁস পালনের সুবিধা হলো- এদের রোগ বালাই কম হয়, এরা ডোবা, নালা, খাল বিল থেকে খাদ্যের চাহিদা অনেকাংশে মিটিয়ে থাকে। অল্প পরিশ্রমে ও কম খরচে হাঁস পালন করা যায়। হাঁস ও মাছ একই সাথে পুকুরে পালন করা যায়। ফলে মাছ চাষে খরচ কম হয়। মুক্ত অবস্থায় পালনে হাঁস অধিক ডিম দেয়। একটি উন্নত জাতের হাঁস বছরে দুইশ থেকে আড়াইশটি ডিম পাড়ে।
তিনি আরো বলেন, পারিবারিকভাবে দুই চারটি হাসঁ পালন করলেই পরিবারের আমিষের চাহিদা মেটানো সম্ভব। হাঁসে ডিম মুরগির ডিমের চেয়ে অনেক বেশি পুষ্টি। আপনারা যারা এ প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন তারা বাড়ির আশেপাশের মানুষদের শেখাবেন, তাহলে সবাই একসঙ্গে হাঁস পালন করলে আমাদের আমিষের চাহিদা অনেক পূরণ হবে। সকালের নাস্তায় একটি করে ডিম খান, মস্তিষ্ক চাঙ্গায় পুষ্টি নিন।
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মারস২৪ডটকম/এম