পার্বত্য চট্টগ্রামের তিনটি জেলায় কাজু বাদামের যোগান বাড়াতে বাগান তৈরির জন্য ৫০ কোটি টাকার বিশেষ প্রকল্প নিয়েছে সরকার। বিদ্যমান সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারলে বছরে ৯ হাজার কোটি টাকার কাজু বাদাম রফতানি করা সম্ভব। তবে যোগান স্বল্পতা থাকায় লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী উৎপাদন হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
দেশের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি ২০২৪ সালের মধ্যে বছরে ৯ হাজার কোটি টাকার কাজু বাদাম বিদেশে রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ শুরু করেছে এ খাতের ব্যবসায়ীরা। বিশ্বে বর্তমানে ৯০ হাজার কোটি টাকার কাজু বাদামের চাহিদা রয়েছে।
গ্রীন গ্রেইন গ্রুপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাকিল আহমেদ তানভীর বলেন, লক্ষ্যমাত্রা হলো ২০২৪ সালের মধ্যে বছরে ৯ হাজার কোটি টাকার প্রসেস কাজু বাদাম এক্সপোর্ট করা। তিন পার্বত্য জেলাতেই সীমিত আকারে চলছে কাজু বাদামের চাষ। বর্তমানে উৎপাদন ২ হাজার মেট্রিক টন উৎপাদন ।
এ অবস্থায় তিন পার্বত্য জেলায় কাজু বাদামের চাষ বাড়াতে ৫০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প নিয়েছে সরকার। সোমবার (১২ অক্টোবর) মন্ত্রী পরিষদ বৈঠকে অনুমোদন পেতে যাচ্ছে এই প্রকল্প। প্রায় ২ লাখ হেক্টর পাহাড়ি ভূমি কাজু বাদাম চাষের আওতায় আনার ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেন, যারা বাগান করেন তাদেরকে বিনা পয়সায় যা যা লাগবে সব দেয়া হবে।
বিশ্বের কাজু বাদামের চাহিদার ৫২ শতাংশ ভিয়েতনাম এবং ২২ শতাংশ ভারত সরবরাহ করে। এক্ষেত্রে স্বাদ এবং গুণগত মান ভালো হওয়ায় জায়গা করে নিতে পারে বাংলাদেশও।
গ্রীন গ্রেইন গ্রুপ নির্বাহী পরিচালক ইকরাম মোর্শেদ বলেন, বাংলাদেশের কাজু বাদাম ভিয়েতনামের থেকেও সুস্বাদু। অন্যান্য দেশের দিক থেকে দামেও আমরা প্রভাব ফেলতে পারব।
প্রসঙ্গত, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে বিদেশ থেকে বাংলাদেশে প্রায় ৫ লাখ মেট্রিক টন কাজু বাদাম আমদানি হয়েছে।
সূত্র: দৈনিক আনন্দ বাজার
ফার্মসএন্ডফার্মার/১৩অক্টোবর২০