পুকুরের পানি বিষাক্ত হলে করণীয় কি তা আমাদের অনেকেরই জানা নেই। মাছ চাষে লাভবান হওয়ার ক্ষেত্রে পুকুর পরিচর্যা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অনেক সময় মাছ চাষে বিষাক্ত হয়ে থাকে তখন আমরা বুঝতে পারি না আসলে কি করতে হবে। পুকুর বিষাক্ত হলে মাছ চাষে লোকসান নিশ্চিত। চলুন জেনে নেই পুকুর বিষাক্ত হলে করণীয় সম্পর্কে-
পুকুরের পানি বিষাক্ত হলে করণীয়ঃ
কোন কারণে কেউ পুকুরে বিষ প্রয়োগ করলে বা বিষাক্ত কোন ওষুধ প্রয়োগ করলে পুকুরের পানি বিষাক্ত হয়ে থাকে। আর পুকুরের পানি বিষাক্ত হলে মাছ চাষের সর্বনাশ হয়ে যাবে। বিভিন্ন কারণে পুকুরের পানি বিষাক্ত হতে পারে।
তাই সব সময় পুকুরের পানি যাতে বিষাক্ত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তবুও যদি পুকুরের পানি বিষাক্ত হয়ে যায় তাহলে নিম্নোক্ত উপায়ে পুকুরের পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে।
পুকুরের পানি বিষাক্ত হওয়ার কারণঃ
বিভিন্ন কারণে পুকুরের পানি বিষাক্ত হতে পারে। নিচে উল্লেখযোগ্য কারণগুলো দেওয়া হল-
শত্রুতার জের ধরে কেউ পুকুরে বিষ প্রয়োগ করতে পারে।
পুকুরের পাশের জমিতে কীটনাশক দিলে এবং সেই পানি পুকুরে প্রবেশ করলে।
পুকুরে মাত্রার চেয়ে বেশি খাদ্য প্রয়োগ করলে।
পুকুরে দ্রবীভূত গ্যাসের কারণেও পানি বিষাক্ত হতে পারে।
পুকুরে পানির বিষাক্ততা দূর করতে করণীয়ঃ
যদি কখনও পুকুরের পানি বিষাক্ত হয়ে যায় তাহলে নিচের পদ্ধতিতে বিষাক্ততা দূর করা যেতে পারে-
১। পুকুরের পানি বিষাক্ত হলে শুরুতেই প্রতি শতকে ৫ থেকে ৬ কেজি গোবর ছিটিয়ে দিতে হবে।
২। পুকুরে গোবর ছিটানোর পাশাপাশি শতক প্রতি ১ কেজি চুন ছিটিয়ে দিতে হবে।
৩। প্রতিদিন হর টানতে হবে যাতে পুকুরের অভ্যন্তরীণ গ্যাস বের হয়ে যায়। ১০ থেকে ১২ দিন এভাবে টানতে হবে।
৪। বিষাক্ততার মাত্রা বেশি হলে প্রয়োজনে পুকুরের পানি পরিবর্তন করতে হবে।
৫। পুকুরের পরিবেশ ঠিক আছে কিনা তা জানার জন্য পরীক্ষামূলকভাবে কিছু মাছের পোনা ছেড়ে দিয়ে পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
৬। পুকুরে ছেড়ে দেওয়া পোনা যদি না মারা যায় তাহলে বুঝতে হবে যে পুকুরের পানির বিষাক্ততা নেই। তখন নিশ্চিত হয়ে পুকুরে আবার মাছ ছাড়তে হবে।