ক।পোল্ট্রির প্রডাকশন কমে যাবার কারণ:
লেয়ারে ১৮-২১ সপ্তাহে প্রডাকশন শুরু হয়,কোন কোন এলাকায় ২০-২১ সপ্তাহে ৪০-৫০% চলে আসে আবার কিছু এলাকায় বা কিছু ফার্মে ২৩ সপ্তাহে ৫০% আসে,২৫-৩০সপ্তাহে পিক প্রডাকশন ৯০-৯৫% হয়।৬০ সপ্তাহে ৮৫-৯০% থাকে,৮০ সপ্তাহে ৮০-৮৫% থাকে,৯০-১০০ সপ্তাহে কালিং হয়। একটু কম বেশি হতে পারে।
প্রডাকশন আপ ডাউন হবার কারণ
১।ব্যবস্থাপনাগত ত্রূটি
২।নিউট্রিশনাল ঘাটতি
৩।রোগ ব্যাধি
৪।প্যারাসাইট ইনফেস্টেশন
৫।ভ্যক্সিনেশন ও কৃমিনাশকের রিয়েকশন বা ধকল
৬। আবহাওয়াগত স্টেস (শীত বা গরম )
৭।বিহেভিওরাল(Behavioral) (ভয়)
৮।ফিজিওলজিকেল(physiological) (বয়স)
৯।এনভাইরনমেন্টাল(Environmental)(পানির হার্ডনেস,লবনাক্ততা,ঘনবসতি,পোল্ট্রির ঘনত্ব )
১০।স্নায়ুবিক কারণ
১।ব্যবস্থাপনাঃ
আলোর সময়ের পরিমাণ কমে গেলেঃ
লেয়ারে মিনিমাম ১৪-১৫ ঘন্টা আলোর প্রয়োজন হয় কিন্তু শীতে আলোর পিরিয়ড কমে যায় তাই ডিম কমে যায়।
ভেন্টিলেশনঃ শীতে ফার্মে পর্দা দেয়ার কারণে ভিতরে এমোনিয়া বেশি হয়,টাইটার ও অক্সিজেন কমে যায় ফলে ডিম কমে যায়।
ভাল ভেন্টিলেশনের অভাবে ২০% ডিম কমে যেতে পারে।
খাবারে এনার্জি বেশি হলে আর প্রোটিন কম হলে ফ্যাটি লিভার হয় ফলে ডিম কমে যায়।
হঠাত খাবার পরিবর্তন করলে ডিম কমে যায় ।
কয়েক ঘন্টায় খাবার ও পানি না দিলে ডিম কমে যায়।
আলোঃসেডের ভিতর নিউজপেপার পড়া যায় এমন আলো থাকা উচিত।এর চেয়ে কম হলে ডিম কমে যাবে।
শীতকালে ৫% এবং গরমকালে ১০% ডিম আসলে ফার্মে আলো দিতে হবে।
খাবারে মাইকোটক্সিন থাকলে ক্যালসিয়াম ও ডি৩ এর ঘাটতি হয় ফলে ডিম কমে যায়।
মোল্ট্রিংঃমোল্ট্রিং হলে ডিম কমে যায়,কারণ খাবারের প্রোটিন প্রডাকশনে কাজে না লেগে পালক তৈরিতে ব্যবহার হয়।এই সময় বাড়তি কার্বোহাইড্রেট দরকার।
গরমে পানি বেশি খায় আবার খাবার কম খায় ফলে ডিম কমে যায়।
ওজন কম বা বেশিঃওজন বেশি হলে ডিম প্রডাকশন কম হয় আবার ওজন কম হলে দেরিতে ডিম পাড়ে,মুরগি দূর্বল হয় এবং ডিম কম পাড়ে।
২।নিউট্রিশনঃ
এনার্জি,প্রোটিন,ক্যালসিয়াম এর ঘাটতি হলে প্রডাকশন কমে,প্রোটিনের ঘাটতি হলে ওভিডাক্টাল(Oviductal) প্রলাপ্স হয়।
খাদ্যের পুস্টিমানের ঘাটতিঃএকটি সুষম ফর্মুলেশন না হলে ডিম কমে যায় এমন কি ডিম পাড়া বন্ধ করে দিতে পারে।
খাবারে ১৬-১৮% প্রোটিন থাকতে হবে।তবে ডাইজেস্টেবল প্রোটিন ১৪% হলেই হবে।
লবণঃএর ঘাটতি হলে ক্যানাবলিজম হয় এবং ডিম কমে যায় ৯-১০%।লবণের মাত্রা হলো 0.5-1%.
সোডিয়ামঃএটি রক্তের পি এইচ,ফ্লুয়িড ভলিউম,অসমোটিক প্রেসার ঠিক রাখে,প্রোটিন ইউটিলাইজেশনে কাজে লাগে,প্রডাকশন ঠিক রাখে।খাবারের রুচি কমে যায়।
লবণ বেশি হলে পাতলা পায়খানা হয়ে লিটার ভিজে যায় ও প্রডাকশন কমে যায়,খোসার মান খারাপ হয়।
ফিশমিল,মিট মিল,কর্ণগ্লোটেন মিল,হুয়ে,সানফ্লায়ার মিলে অতিরিক্ত লবণ থাকে তাই লবণ কম দিতে হবে।
ক্লোরিণঃএর অভাবে পাখি নার্ভাস হয়,সাডেন নয়েস।
খাবার কম খেলে ডিম ১০% কমে যেতে পারে আবার বেশি খাবার দিলে ফ্যাটি লিভার হয়ে ডিম কমে যায়।
ক্যালসিয়ামঃ
৬০গ্রাম ওজনের ডিমে প্রায় আড়াই গ্রাম খোসা থাকে।
গ্রোয়িং পিরিয়ডে যে ১% ক্যালসিয়াম লাগে কিন্তু প্রডাকশন পিরিয়ডে তার ৪গুণ মানে ৪% ক্যালসিয়াম লাগে।
পাখি ক্যালসিয়াম মেডোলারী বোনে জমা করে রাখে এবং প্রয়োজনে ব্যবহার করে,খাচায় পালিত মুরগিতে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হলে বা হাড়ের ক্যালসিয়াম কমে গেলে ব্রিটল বোন(নরম হাড়) হয়,কেজ লেয়ার ফ্যাটিগ হয়,ঠিকমত দাড়াতে পারেনা ফলে খাবার কম খায়,ডিম কম পাড়ে।
ফ্রি রেঞ্জ বা মুক্তভাবে পালিত মুরগি ইচ্ছা অনুযায়ী ক্যালসিয়াম বিস্টা থেকে নিয়ে নেয়(ক্যালসিয়ামের রিসাইক্লিং হয়)।কিন্তু খাচায় পালিত মুরগি ইচ্ছে বা প্রয়োজন অনুযায়ী কিছু খেতে পারেনা।
ক্যালসিয়াম পারটিকেল সাইজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে পারটিকেল সাইজ বড় হলে অনেক সময় ধরে মানে রাত্রে ও বডিতে থাকে ফলে রাত্রে খাবার না খেলেও ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ হয়ে যায়।
ক্যালসিয়ামে অনেক ভেজাল থাকে তাই ক্যালসিয়াম দিলেও ঘাটতি হতে পারে যদি ভাল মানের ক্যালসিয়াম না হয়।
ডলোমাইট্রিক ক্যালসিয়াম(ইন্ডাস্টিয়াম ক্যালসিয়াম) যাতে ১০% ম্যাগ্নেসিয়াম থাকে যা ক্যালসিয়ামের সাথে কমপ্লেক্স তৈরি করে বা ইন্টেস্ট্রাইনের এবজরশন সাইটে প্রতিযোগিতা করে ফলে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হয়।
গ্রোয়িং পিরিয়ডে ক্যালসিয়াম বেশি দিলে মরবিডিটি ও মরটালিটি বেশি হবে।
ফসফরাস কারবোহাইড্রেট,ফ্যাট মেটাবলিজমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের অনুপাতে ব্যালেন্স না হলে ক্যালসিয়ামের শোষণ হবেনা।
২৪-৪০ সপ্তাহে ক্যালসিয়াম ৩-৩.৩% এবং ৪১ এর বেশি হলে ৩.৭-৪% ক্যালসিয়াম দিতে হবেতাছাড়া গরমে ক্যালসিয়াম বেশি দিতে হবে।
ডি২ডি৩ঃ
পোল্ট্রিতে ডি৩ থাকে।
ক্যালসিয়াম শোষণ ও ইউটিলাইজেশনে ডি৩ কাজে লাগে।
ডি৩ বেশি হলে হাইপারক্যালসেমিয়া হবে প্রডাকশন কমে যাবে তবে ১০গুণ গ্রহণযোগ্য কিন্তু ১০০গুণ বেশিদিন থাকলে সমস্যা হবে।
প্রোটিনঃ মিথিওনিন এর অভাব হলে প্রডাকশন কমে যায়।প্রোটিন ১৬-১৮% থাকা উচিত।
ডাইজেস্টেবল প্রোটিন ১৪% হতে হবে।
২৫-৫০ সপ্তাহে প্রোটিন বেশি দিতে হবে আ্রবার ৫০ সপ্তাহের পর ক্যালসিয়াম বেশি দিতে হবে কিন্তু প্রোটিন কম দিতে হবে।
ফ্যাটঃএনার্জি ও লিনোলেয়িক এসিডের উৎস।
এর অভাবে ডিম কমে যায়।
খাদ্যে অবশ্যই তেল মিশাতে হবে ১-৩%.(সয়াবিন তেল)
ট্রেস ভিটামিন ও মিনেরেলসঃএগুলো মুরগির হরমোনস,পালক,প্রডাকশন,রুচি ঠিক রাখে তাই এগুলোর ঘাটতি হবে ডিম কমে।
বটুলিজমঃপচা খাবার খেয়ে আক্রান্ত হয় বিশেষ করে হাঁস ।
প্রিমিক্স বা মাল্টি ভিটামিন – মিনারেলসের এর ঘাটতিঃ
প্রায় সময়ই এসবের ঘাটতির কারণে ডিম কমে যায়।
এন্টি কক্সিডিয়ালঃ
নিকারবাজিন লেয়ারে দিলে প্রডাকশন কমে যায় এবং প্রজনন তন্ত্রের ক্ষতি করে তাছাড়া খোসার কালার ৪৮ ঘন্টায় বাদামী থেকে সাদা হয়ে যায় কিন্তু খাবার পরিবর্তন করলে আবার বাদামী কালার হয়ে যায়।
মনেনসিনঃ এটিও প্রডাকশন পিরিয়ডে দিলে ডিম কমে যায়।
ধকল ও পরিবর্তন
খাবার পরিবর্তন,মুরগি পরিবহন,খাচা থেকে আরেক খাচায় স্থানান্তর,ভয়,পরজীবীর আক্রমণঃ
বিরুপ আবহাওয়াঃগরম বেশি হলে খাবার কম খায় কিন্তু পানি বেশি খায় ফলে ডিম কমে যায় আবার পানি বেশি খেলে পাতলা পায়খানা হয়,লিটার ভিজে যায়,ধকলের সৃস্টি হয় এবং ডিম কমে যায়।
তাপমাত্রা কমে গেলে খাবার বেশি খায় ফলে প্রোটিন বেশি খায় এতে ওজন বেড়ে ডিম কমে যায়।
তীব্র শব্দ হলে এবং ঘরে নতুন লোক ঢুকলে ডিম কমে যায়।
এমোনিয়াঃএমোনিয়ার মাত্রা বেশি হলে ডিম ৫-১০% কমে যায়।
৪।ক্লাইমেট(আবহাওয়া)
আমাদের দেশে তাপমাত্রা ১০-৪৫ডিগ্রি পর্যন্ত উঠানামা করে মানে শীতে ১০ আর গরমে ৪৫ ডিগ্রি হয়।
অতিরিক্ত তাপমাত্রা আর শীতে ধকল পড়ে,রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়,টাইটার কমে যায়,খাবার কম খায়,ওজন কমে যায় ফলে ডিম কমে যায়।
তাছাড়া আবহাওয়ার জনিত ধকলের কারণে মোল্ট্রিং হয়ে ডিম কমে যায়।
৫।প্যারাসাইটঃ
উকুন,মাইটস,কৃমি,কক্সিডিওসিস এর কারণে ধকল পড়ে,এনিমিয়া হয় ফলে ডিম কমে।
৬।ভ্যাক্সিন ও কৃমিনাশকঃ
এর জন্য ধকল পড়ে এবং ডিম কমে যায়।
৭।রোগঃ
বিভিন্ন রোগের কারণে মুরগির খাবার ও পানি কমে যায়,এমাইনো এসিড ও প্রোটিন প্রডাকশনে ব্যয় না হয়ে এন্টিবডি ও ইমোনিটি তৈরিতে কাজে লাগে ফলে ডিম কমে যায়।তাছাড়া ধকল পড়ায় ডিম কমে যায়।
পক্সঃ
৩-৫% ডিম কমতে পারে।
রানিক্ষেতঃ
রোগটির প্রভাব ১০-১৪দিন থাকে প্রডাকশন স্বাভাবিক হতে ৫-৬ সপ্তাহ লাগে।প্রডাকশন ১০-৬০% কমে যায় এবং ডিম ছোট হয়ে যায়।
এটি হঠাত শুরু হয় এবং দ্রুত ছড়িয়ে যায়।ডিম দ্রুত কমে যায় এবং প্রডাকশন শূন্য হয়ে যেতে পারে।
আমাশয়ঃ যদি লিটারে পালে তাহলে ডিম কমতে পারে।
আই বিঃ
ডিম ২০-৪০% কমে যায়,ডিম স্বাভাবিক হতে ৩০-৬০দিন লাগে।
ডিমের মান খুব খারাপ হয়,আকাবাকা ডিম,খোসা পাতলা ডিম,ছোট ডিম হয়।
গ্রোয়িং পিরিয়ডে হলে প্রডাকশন ভাল হয় না।
এ আইঃ
রোগটি ১০-৩০দিন ধরে চলে আর ডিম ৫-৬০% কমে যায়।এমন কি ডিম পাড়া বন্ধ হয়ে যায়।
পূর্বের প্রডাকশনে আসতে ৩-৬সপ্তাহ লাগে তবে আগের মত ডিম পাড়ে না.৭৫-৮৫% উঠে।গ্রোয়িং পিরিয়ডে হলে প্রডাকশনের তেমন সমস্যা হয় না।
এইহ ৯ হলে মর্টালিটি ০-১০%,এইচ ৫ হলে মর্টালিটি ৩০-১০০%।
রোগের তীব্রতা বিভিন্ন ধরণের হয় যেমন
লক্ষণহীন(Asymptomatic)
অতিতীব্র(HPLA)
কম তীব্র(LPAI)
খাঁচার এক মাথায় শুরু হয় অন্য মাথায় গিয়ে শেষ হয়।
ডিমের মান খারাপ হয়,খোসা পাতলা ও নরম ডিম,খাবার ও ডিম কমে যায়।
এভিয়ান এন্সেফালাইটিসঃ
প্রডাকশন ৫-৩০% কমে যায় এবং প্রডাকশন ঠিক হতে ১৪দিন লাগে।
হ্যাচাবিলিটি কমে যায় আর আক্রান্ত মুরগি ২০ সপ্তহের পর অন্ধ হয়ে যায়।
অল্প বয়সে বেশি হয়,মাথা ও গলা কাঁপে,মারা যায়
যেসব বাচ্চা সুস্থ হয় সেগুলো ম্যাচুরিটি প্রাপ্ত হলে চোখে ছানি পড়ে।
মাইকোপ্লাজমোসিসঃ
যে কোন পরিবর্তন,ধকল,পুস্টির ঘাটতি হলে হবার সম্বাবনা বেশি।প্রডাকশন ২-১০% কমে যায়।
কলেরাঃ
হঠাত মুরগি মারা যায়,ডিম ৫-৩০% কমে যায়।
অনেক সময় ক্রনিক কলেরায় অস্থি সন্ধি ও পায়ের পাতা ফুলে যায়,ঝুটিতে ফোড়া হয়।চোখের নীচে সাইনাসে পুঁজ জমে।
এক্ষেত্রে সালফার ড্রাগ অনেকদিন দিলে টক্সিসিটি শো করে এবং ডিম কমে যায়।তাছাড়া ডিম ও মাংসে রেসিডিউ থাকে।
করাইজাঃ
ডিম ৫-৩০% কমে যায় যা সুস্থ হতে ৭-১৪দিন লাগে এমন কি বেশি দিন লাগতে পারে।
ই ডি এসঃ
ডিম ৪০% কমে যায় এবং ৪-১০ সপ্তাহ পর্যন্ত লাগে প্রডাকশন স্বাভাবিক হতে ।
সালমোনেলোসিস ঃ
এটির কারণে প্রডাকশন ৫-১৫% কমে যেতে পারে।
মাইকোটক্সিকোসিসঃ
ডিম অনেক কমে যায় এবং খোসা পাতলা হয়।
কৃমিঃ
ফ্লোরে কৃমির কারণে ২৫% ডিম কমে যেতে পারে তবে খাচায় কৃমি কম হয় তবু ডিম ৫% কমে যেতে পারে।
উকুন ও আঠালিঃ
মুরগিকে বিরক্ত করে এবং ডিম কমে যায়।
অন্যান্যঃচুরিঃঅনেক সময় কাজের লোক বা অন্য কেউ ডিম চুরি করে,এতে ডিম কমে ঠিকই কিন্তু এতে মুরগি দায়ী নয়।
৮।ভয়ঃ
শিকারী ও সাপঃএতে মুরগি ভয় পায় আর ডিম কমে যায়।
অতিরিক্ত শব্দ
৯।বয়সঃ
৫০-৬০ সপ্তাহ থেকে প্রডাকশন কমতে থাকে।
অল্প কথায় নিচের কারণগুলি মেইন
১।সুষম খাবার না হলেঃ
খাবারের মান ভাল না হলে,খাবারে পুস্টিমানের ঘাটতি হলে,ফরমোলা পরিবর্তন করলে,খাদ্য উপাদানের পরিবর্তন করলে,খাবারে মাইকোটক্সিন থাকলে।
২।অধিক গরম বা ঠান্ডা
৩।হঠাত আবহাওয়ার পরিবর্তন হলে।
৪।রোগ
৫।ভয়/ধকল
৬।পানির লাইনে সমস্যার কারণে যদি পানি কম খায়
৭।মাইকোটক্সিন
৮।কৃমি
৯।মাল্টিভিটামিনের ঘাটতি
১০।ক্যালসিয়ামের ঘাটতি,প্রোটিনের ঘাটতি।
১১। মোল্ট্রিং
খ।একেবারেই ডিম পাড়ে না কেন?
১।পুলেটের ওজন পর্যাপ্ত না হলে এটা হতে পারে।
ক ঠিকভাবে লালন পালন না করতে পারলে
খ।খাদ্য ঘাটতি হলে
গ।অতিরিক্ত কৃমি হলে
২।লালন পালনের সময় সঠিক ভাবে আলো প্রদান না করলে
৩।পুলেটের অতিরিক্ত চর্বি হলে -এ জন্য ফাটি লিভার ডিজেনারেশনের জন্য মুরগি মারা যেতে পারে।
৪।কিছু রোগ যেমন আই বি রোগে প্রজননতন্ত্রের পরিপূরণতা আসে না,ফলে ডিম উৎপাদন হয় না বা কম হয়।
৫।টিউমার ।রক্ত সঞ্চালনতন্ত্রের রোগ অথবা জীবাণূ ঘটিত মারাত্মক রোগে ডিম উৎপাদন হয় না বা কমে যায়।
৬।কিছু জীবাণু ঘটিত রোগ যেমন তীব্র আকারের রানিক্ষেত,এ আই,কলেরা,ই ডি এস রোগে ডিম উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।
গ।শুরু থেকে ডিম উৎপাদন কম হয় কেন?
১।পুলেট তৈরি সঠিক ভাবে না হলে,খাদ্য উপাদানের ঘাটতি থাকলে,অসম আলোক কর্মসূচী প্রোগ্রাম,ফার্মে ব্যবস্থাপনা ভাল না হলে শুরু থেকে ডিম উৎপাদন কম হয়।
ঘ।মুরগি ডিম দিতে অসমর্থ হয় কেন.
১।ডিমের আকার বেশি বড় হলে বিশেষত ২ কুসুম যুক্ত ডিম হলে এমন হয়।
২।ডিমের খোসা অমসৃণ থাকলে পিচ্ছিলতা থাকে না তখন এই সমস্যা দেখা দেয়।
৩।ডিতরে ডিম ভেংগে থাকলে এমন হয়।
৪।অপ্তাপ্ত পুলেটের ডিম্বাদার ছোট থাকলে।
৫।ডিম পাড়ার সময় কোন কারণে মুরগি অস্থির হলে
৬।ডিম্বাদারে রোগ হলে
৭।এছাড়া বিভিন্ন রোগ হলে।
চ।কেন ডিম কম পাড়ে
১।বিভিন্ন রোগ করাইজা,ই কলাই,মাইকোপ্লাজমোসিস,রানিক্ষেত,এনসেফলোমাইলাইটিস,পক্স,ব্রংকাইটিস,আই এল টি,ই ডি এস।.
২।কৃমি,উকুন ও মাইটেস আক্রমণ থাকলে
৩।পানিতে সোডিয়াম,ক্লোরাইড ও সালফাইড বেশি থাকলে।
৪।পানির পি এইচ কম থাকলে
৫।অতিরিক্ত গরম বা ঠান্ডা থাকলে
৬।খাদ্যে পুস্টির ঘটতি থাকলে।
৭।নির্মল বায়ু চলাচলের ঘাটতি থাকলে
৮।উল্টাপাল্টা মেডিসিন দিলে
৯।ভ্যক্সিনের রিয়েকশন হলে।
১০।মাইকোটক্সিকোসিস
১১।স্থান পরিবর্তন করলে
১২।বিভিন্ন বয়সের এবং অধিক মুরগি এক সাথে পালন করলে
১৩।অপ্রতুল খাদ্য ও পানির জায়গা এবং খাদ্য ও পানির পাত্রের ঘাটতি থাকলে
১৪।নিন্মমানের বাচ্চা দিয়ে লেয়ার করলে
১৫।মোল্টিং এবং ভয় পেলে
১৬।বাচ্চা অবস্থায় জন্মগত ত্রুটি থাকলে
১৭।যে কোন ধকলে
১৮।বেশি খাবার দিলে
১৯।ইউনিফর্মিটি ভাল না হলে
২০।আলোক ব্যবস্থাপনা সঠিক না হলে
২১।এমোনিয়া গ্যাস হলে
২২।হঠাত খাদ্য পরিবর্তন করলে
২৩।দেহে হরমোনের ঘাটতি হলে
২৪।মুরগি কুচে হলে।
ফার্মসএন্ডফার্মার/১৩অক্টোবর২০