ঘরের মধ্যে লিটারের অবস্থা খারাপ হলে ঘরের তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা কমাতে হবে এবং বাতাসের প্রবাহ বাড়াতে হবে। মুরগি বিক্রি বা অন্য কোনো কারণে সরিয়ে ফেলার পর লিটার পরিশুদ্ধ করে পুনরায় ব্যবহার করা যায়।
এজন্য প্রতি ১০.৫ বর্গ ফুট (১ বর্গ মিটার ) জায়গার লিটারের মধ্যে ১ কেজি সুপার ফসফেট অথবা ২ লিটার ফসফরিক অ্যাসিড অথবা ১ কেজি চুন ভালভাবে মিশিয়ে একস্থানে ৭ দিন স্তুপ করে রাখবেন । এতে লিটার পরিশুদ্ধ হয়ে পুনরায় ব্যবহারোপযোগী হবে।
বর্তমানে চুনের ব্যবহার বিশেষজ্ঞরা নিরুৎসাহিত করে থাকেন। চুন ব্যবহারে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা দেখা দেয়। আমাদের দেশসহ অনেক দেশেই লিটারের অভাব এবং মূল্যবেশি হওয়াতে একই লিটার বার বার ব্যবহার করার প্রচলন বৃদ্ধি পাচ্ছে। অর্থাৎ ঘরে একবার লিটার স্থাপন করে তার উপর কয়েক ব্যাচের ব্রয়লার পালন করা হয়। এজন্য লিটারের কমিয়ে এর থেকে যাতে অ্যামোনিয়া নির্গত না হতে পারে সেজন্য কিছু রাসায়নিক পদার্থ যোগ করা হয়।
আসলে লিটারের মধ্যে কিছু কিছু ব্যাকটেরিয়া মুরগির প্রস্রাবের সঙ্গে নির্গত হওয়া ইফরিক অ্যাসিডকে ভেঙে অ্যামোনিয়া রূপান্তরিত করে।
গবেষণায় দেখা গেছে যে , লিটারের যদি ৭.০ বা তারও নীচে নিয়ে আসা যায় তাহলে অ্যামোনিয়া নির্গত হওয়ার হার খুবই কমে যায় । ফসফরিক অ্যাসিড , সুপার ফসফেট বা চুন ছাড়াও অন্যান্য যে সমস্ত রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা যেমন ক্যালসিয়াম ফসফেট এবং অ্যালুমিনিয়াম সালফেট বা ফিটকিরি।
ফিটকিরি ব্যবহারের একটা সুবিধা হচ্ছে যে, এটা লিটারের মধ্যের ফসফরাসকে রাসায়নিক বন্ধনে আবদ্ধ করে ফেলে যা পরিবেশের জন্য খুবই সহায়ক। তবে মুরগির ঘরে সংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাব থাকলে পুরানো লিটার পুড়িয়ে ধ্বংস করে ফেলতে হবে। পরিশুদ্ধ লিটার বাচ্চার ব্রুডিংয়ের জন্য ব্যবহার না করাই ভালো। সূত্র:BD&P
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/এম