বাগেরহাট থেকে: ফকিরহাটের লখপুরে অনাবাদি জমি ও বাড়ির আঙ্গিনায় পেঁপে চাষে সাবলম্বি হয়েছে স্থানীয় কৃষক-কৃষাণী। এদের মধ্যে দ্বীন মোহাম্মদ মোড়লের পেঁপে চাষ যুগিয়েছে অনুপ্রেরণা। তিনি ৩৩ শতাংশ জমিতে ৩২০টি পেঁপে গাছ লাগিয়ে প্রায় ২ লক্ষাধিক টাকার পেঁপে বিক্রি করেছেন বলে জানান।
এ ব্যাপারে তিনি জানান, কৃষি বিভাগের পরামর্শে অনাবাদি জমিতে চলতি বছরের এপ্রিল মাসের প্রথম দিকে জৈবসার প্রয়োগের মাধ্যমে চারা রোপন করেন। আগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে পেঁপে বিক্রি শুরু হয়। অতিবৃষ্টিসহ নানা প্রতিকূলতার মধ্যদিয়ে চাষ করে সফলতা এসেছে আশানুরূপ।
পেঁপে চাষ করতে গিয়ে এ পর্যন্ত তার খরচ হয়েছে প্রায় ৩০ হাজার টাকা। উন্নত প্রযুক্তিতে উত্পাদিত প্রতিটি পেঁপের ওজন প্রায় ৩-৬ কেজি। প্রতিটি গাছ পেঁপের ভারে নুয়ে পড়ছে। গাছ ঠিক রাখতে বাঁশের খুটি পুতে বেধে দেওয়া হয়েছে। এ পদ্ধতিতে পেপে চাষ দেখে অনেক কৃষক পেপে চাষে উদ্বুদ্ধ হয়ে বাড়ির আঙ্গিনাসহ বাণিজ্যিকভাবে চাষ শুরু করেছেন।
বল্লখপুরের কৃষানী স্বরস্বতী বিশ্বাস বলেন, দ্বীন মোহাম্মদের অনাবাদি জামিতে পেঁপে চাষে সফলতা দেখে কৃষি বিভাগের পরামর্শে অনেকেই পেঁপে সহ পতিত জমি ও বসতবাড়ির আঙ্গিনায় সবজি চাষ শুরু করেছি। কৃষি বিভাগের পাশাপাশি ইউপি চেয়ারম্যান নিজস্ব তহবিল থেকে আর্থিক সহোযোগিতার মাধ্যমে চাষাবাদে সহযোগিতা করছে।
এ ব্যাপারে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা বিপ্লব দাশ জানান, লখপুর ইউনিয়নে যেসকল বাড়ির আঙ্গিনাসহ অনাবাদি প্রতিত জমি রয়েছে তাতে ইউপি চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় ওয়ার্ড সভার মাধ্যমে কৃষকদের জমির শ্রেণি অনুসারে বিভিন্ন ফসল চাষ করতে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। এ পরামর্শ অনুযায়ী চাষাবাদ করে বেকার জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের পাশাপাশি দরিদ্র পরিবারে সচ্ছলতা এসেছে।
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/এমএস