ফার্মের মালিকরা যে কারণে লাভবান হচ্ছেন না, জেনে নিন কারণগুলো

281

ইদানীং অনেকে বলেছেন ফার্ম করে লাভবান হতে পারছেন না- আমি মনে করি এর মূলে রয়েছে বাকীতে ব্যবসা সম্প্রসারণের ব্যর্থ চেষ্টা, অনুসন্ধানে দেখা যায় দেশের ৯০℅ ফার্ম বাকীতে পরিচালিত হয়ে আসছে, যার প্রেক্ষিতে অধিকাংশ লাভের মুখ দেখছেনা, যার দরুন খামারিগণ দায় চাপাচ্ছেন অন্যের ঘাড়ে, বলছেন- ফিড বাচ্চা বা প্রয়োজনীয় উপকরণের দর বৃদ্ধি, রেড়ী মুরগীর বাজার ভালো নয় কিংবা ডিলারগন অতি মুনাফা করছেন ইত্যাদি, আমি এসব বিষয়ের সাথে দ্বিমত পোষণ করছি না, বলতে চাচ্ছি ঐসব বিবিধ কারণের সাথে অঙ্গাঅঙ্গী ভাবে ভাবে যোগ হয়েছে বাকীতে ব্যবসা সম্প্রসারণ।

প্রান্তিক খামারিদের বলছি নগদে ব্যবসা করুণ! অন্যরা যেহেতু লাভবান হচ্ছে- আপনিও হবেন নিঃসন্দেহে, অনেকে বলছেন ১১০= দরে মুরগী বিক্রি করে লাভের মুখ দেখছেন না অথচ কেউ কেউ ১০০= দরে মুরগী বিক্রি করেও ভালো মুনাফা করছেন, এর মূলে নগদ/বাকীর মিশ্রণ বলা চলে, যেমন মুদ্রার এপিট ওপিঠ একদিকে লাভ অন্য দিকে লোকসানের ক্ষতিয়াণ অতএব কোনটি নিবেন সে বিবেচনা আপনার?

উদাহরণ সরুপ বলছি- আপনি ১,০০০টি ব্রয়লার মুরগীর ব্যাচে করতে চাচ্ছেন? সেখানে বাকীতে আনুমানিক অতিরিক্ত ব্যয় বাচ্চা প্রতি ৩= করে ১,০০০×৩= ৩,০০০/= খাদ্য আনুমানিক ৩০ ব্যাগ, প্রতি ব্যাগে অতিরিক্ত- ২০০×৩০= ৬,০০০/= ঔষধ বাবদ অতিরিক্ত ২,০০০= সর্ব মোট ১১,০০০= টাকা অতিরিক্ত গুনতে হচ্ছে, সেখানে ব্যাচ যদি হয় ২,০০০/৩,০০০ তবে ব্যয়ের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় দুই তিন গুন বেশি অর্থাৎ ২২,০০০= কিংবা ৩৩,০০০= টাকা, অতএব আবারও জোর দিয়ে বলতে চাই বাকীতে ফার্ম পরিচালনা সম্পন্ন ভাবে বন্ধ করুন!

কেউ কেউ বলতে পারেন আর্থিক সমেস্যা রয়েছে, যার দরুন ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও নগদে ব্যবসা করা সম্ভবপর নয় তাদের বলছি ইচ্ছে থাকলে এটা কোন বিষয় নয়!

কেননা বাকীতে বিশালাকার ফার্ম না করে বরং আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী ছোট্ট ফার্ম পরিচালনা করুণ অল্প দিনে সফলতা আসবে ইনশাআল্লাহ এবং একদিন এই ছোট্ট ফার্মটি পরিণত হবে বৃহৎ একটি কমার্শিয়াল ফার্মে সেই প্রত্যাশাই রইলো।

ভালো থাকুন শুভকামনা অবিরাম অন্তহীন রইলো।

পরিচিতিঃ
মো. সিরাজুল ইসলাম, ব্যবস্হাপনা পরিচালকঃ ব্রাদার্স পোলট্রি ইন্টারন্যাশনাল, ঢাকা।
Email: brothers [email protected]

ফার্মসএন্ডফার্মার/ ০৭ এপ্রিল ২০২১