১।ফার্মে ঢুকার আগে জুতায় স্প্রে করার চেয়ে ভিতরে জুতা রাখা উচিত যাতে জুতা বদল করে ভিতরে যাওয়া যায় অথচ ৯০% ফার্মের ভিতরে জুতা থাকে না। আমাদের দেশে খামারীরা যেভাবে স্প্রে করে এতে জীবানূ মরে না।
স্প্রে করে সাথে সাথে ফার্মে ঢুকে যায় এতে লাভ নেয় কারণ জীবাণূ মরতে একটু সময় লাগে যাকে কন্টাক টাইম বলে।নরমালী কন্টাক টাইম ১-১০মিনিট । জীবাণুনাশক দিয়ে স্প্রে করার পর ১-১০ মিনিট অপেক্ষা করার পর ফার্মে ঢুকতে হবে।
মুরগি যখন অসুস্থ হয় তখন খামারীরা স্প্রে করে এবং কাউকে ফার্মে সহজে ঢুকতে দেয়না অথচ ফার্ম আক্রান্ত হবার পর স্প্রে করে লাভ নেই।
২। লাইভ ভ্যাক্সিনের আগেরদিন,ভ্যাক্সিনের দিন এবং পরের দিন জীবাণূনাশক স্প্রে করলে
৩।সালফার ড্রাগের সাথে পি এইচ দিলে পানিতে এন্টিবায়োটিকের তলানী পড়ে।
৪।সিপ্রো এবং পেনিসিলিন(এমোক্সিসিলিন) সাথে ইরাইথ্রোমাইস এবং ট্রেট্রাইসাইক্লিন দিলে
৫।টাইটার না জেনে ভ্যাক্সিন দিলে
৬।রোগ নির্ণয় না করে চিকিৎসা দিলে
৭।গড় গড় শব্দ ,হাঁচি ,কাশি বা ঠান্ডা লাগলে সেটার কারণ না জেনে চিকিৎসা করলে।
৮।ব্রয়লারকে বা লে্যার গ্রোয়ারকে টিয়ামোলিন (ডেনাগার্ড,রেনাগার্ড,মেগাগার্ড,টিয়াভেট,স্টিয়াজেন,টাইওজেন,মাইকোগার্ড,টিয়ামুল,টায়ালিন)জাতীয় এন্টিবায়োটিক দেয়া যাবে না।
৯।কিল্ড ভ্যাক্সিন নরলাম তাপমাত্রায় আসার আগে টিকা দেয়া যাবেনা।
১০।মেরেক্স ভ্যাক্সিন খুবই সেন্সেটি্টিভ তাই ১ ঘন্টার মধ্যেই টিকা দেয়া উচিত।
১১।গ্রোয়িং পিরিয়ডে লাইট বেশি দিলে প্রডাকশন পিরিয়ডে ক্যানাবলিজম বেশি হয়।
১২।গ্রোয়িং পিরিয়ডে ভুল করলে প্রডাকশনের সময় ডিম কম পাড়বে এবং বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে।
১৩।তাপের ব্যবস্থা না করে পর্দা দিয়ে তাপ দেয়ার ব্যবস্থা করা।এতে পেঠে পানি জমা হয়।
১৪।অনেক সময় এক সাথে ৪-৭টি এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করে।এতে ডিসব্যাক্টেরিওসিস হয় ,রুচি কমে যায়।ডিমের কালার পরিবর্তন হয়।
১৫।ডাবল ডোজে ভ্যাক্সিন দেয়ার দরকার নাই।এতে অপচয় হয়।যদি পানির লাইনে সমস্যা হয় বা মুরগি অসুস্থ থাকে তখনই শুধু দেড় গূণ বা ডাবল ডোজ দেয়া উচিত।অন্যথায় দেয়া উচিত না।কিছু কিছু ফার্মের খাচার সেটিং ভাল থাকে না ফলে সব লাইনে পানি পেতে গেলে দ্বিগুণ পানি লাগে।
মুরগি যদি আক্রান্ত থাকে সে ক্ষেত্রে এন্টিজেন এন্টিবডি কমপ্লেক্স হয়ে কিছু ভ্যাক্সিন খরচ হয়ে যেতে পারে সে ক্ষেত্রে বলা হয় ডাবল ডোজ ।
১৬।দক্ষ এবং সচেতন ভ্যাক্সিন ম্যান দিয়ে ভ্যাক্সিন দেয়া উচিত। ভ্যাক্সিন ম্যানের মাধ্যমে ফার্মে জীবাণূ ঢুকার সম্বাবনা থাকে।
১৭।আমাশয় হলে ৫দিন ডোজ দিতে হবে এবং সব সময় দিতে হবে।আমাশয় না হলে প্রিবেন্টিভ ডোজ হিসাবে ৩দিন দিলেই হবে।
১৮।সিপ্রোফ্লক্সাসিনের সাথে পি এইচ দিলে কার্যকারিতা বাড়ে আর এনরুফ্লক্সাসিলিনের সাথে পি এইচ দিলে কার্যকারিতা কমে।
১৯।এমিকাসিনের পি এইচ ৫-৬ ।জেন্টা্মাইসিনের পি এইচ ৪,ক্লোরফেনিকলের পি এইচ নিউট্রাল।
২০।খাবারে বি কমপ্লেক্স দিলে ভিটামিনের নস্ট হয়ে যায় তাই পানিতে ভিটামিন দেয়া উচিত।
২১.টাইলোসিনের সাথে পি এইচ দিলে
২২। ফার্মে ডাক্তার না ঢুকলে খামারীর মন ভরে না, যদি বাহির থেকে মুরগি দেখার সুযোগ থাকে সে ক্ষেত্রে বাহির থেকে মুরগি দেখা ভাল।
যদি সুযোগ থাকে ডাক্তারের কাছে মুরগি নিয়ে যাওয়া ভাল।
২৩।আই বি ভ্যাক্সিনের ক্ষেত্রে ডাইলোয়েন্ট ও ফ্রিজে রাখা উচিত মানে সমান তাপমাত্রায় রাখতে হবে তানাহলে ভাল কাজ করবে না।
ফার্মসএন্ডফার্মার/১৮সেপ্টেম্বর২০