বন্যার পানিতে অনায়াসে টিকে থাকতে পারে ব্রি ধান ৯১, চাষ করবেন যেভাবে

1007

ব্রি ধান ৯১

গত বছর বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) বিজ্ঞানীরা অগভীর বন্যাপ্রবণ এলাকায় চাষের জন্য উপযোগী একটি সম্ভাবনাময় উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান উদ্ভাবন করেছেন। এর নাম হলো ব্রি ধান ৯১। বোনা আমন মৌসুমের জন্য উদ্ভাবিত এই জাতটি বন্যার পানির সাথে সংগতি রেখে বাড়তে পারে। এটি একটি জলমগ্নতা সহিষ্ণু জাত। এই জাতটির মধ্যে মধ্যম মাত্রার স্টেম ইলংগেশন (stem elongation) গুণাবলীও রয়েছে। এই জাতটি যথেষ্ট লম্বা, এর উচ্চতা হলো ১৯০ সেন্টিমিটার। কিন্তু গাছের গোড়া শক্ত হবার কারণে বন্যার পানি সরে গেলেও ধান গাছ হেলে পড়ে না। তিন চার ফিট বন্যার পানিতে অনায়াসে টিকে থাকতে পারে ব্রি ধান ৯১।

অগভীর বন্যাপ্রবণ এলাকায় এই জাতটি হেক্টর প্রতি ৩ থেকে সাড়ে ৩ টন ফলন দেয়। হাওর এলাকার নিচু জমিতে এই ধানের চাষ করা যাবে। স্থানীয় জলি আমন ধানের চেয়ে ১০-১৫ দিন আগাম এই জাতটির ফলন হবে দ্বিগুণ। দেশের অগভীর বন্যাপ্রবণ অঞ্চলে এই ধানের চাষ করতে পারলে বাংলাদেশের মোট ধান উৎপাদন প্রায় পাঁচ লাখ টন বৃদ্ধি পাবে।

এই ধানের জাতটি উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিয়েছেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড: এ এস এম মাসুদুজ্জামান। Abu Shaker Masuduzzaman এই অনন্য আবিষ্কারটি বাংলাদেশের ধান উৎপাদনের ক্ষেত্রে একটি নতুন দিগন্তের সূচনা করবে বলে আশা করছি।

আমাদের দেশের ধান বিজ্ঞানীরা নিরলসভাবে দেশের খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কাজ করে যাচ্ছেন, কিন্তু প্রিন্ট বা ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে তাঁদের কাজের যথাযথ মূল্যায়ন করা হচ্ছে না। আসুন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমরা তাঁদের সাফল্যের কথা সবার কাছে পৌঁছে দেই।

দয়া করে এই লেখাটি সবার সাথে শেয়ার করুন।
( কপি মাসুদুজ্জামান স্যারের ওয়াল হতে)

ফার্মসএন্ডফার্মার/১১আগস্ট২০