ঈদ উল আজহায় কোরবানির পশুর চাহিদা মেটাতে জেলার আমতলী ও তালতলী উপজেলার খামারিরা প্রস্তুত রয়েছেন। জেলার সর্বত্রই ব্যক্তি মালিকাধীন খামারগুলোতে গরু, মহিষ, ভেড়া ও ছাগল (খাসি) মোটাতাজাকরণ হচ্ছে তবে আমতলী ও তালতলী উপজেলায় এ বছর বাণিজ্যিকভাবে অনেকগুলো পশু প্রতিপালন খামার চালু করা হয়েছে।
স্থানীয় খামারীরা সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজাকরণের কাজ করেছেন। স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ কোন কৃত্রিম খাবার, ওষুধ বা রাসায়নিক পদার্থ পশু মোটাতাজাকরণে ব্যবহার করা হয়নি বলে খামারিরা আশ্বস্ত করেছেন।
প্রাণিসম্পদ বিভাগের সংখ্যা তথ্যে জানা গেছে, শুধু মাত্র আমতলী ও তালতলী উপজেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে ৩৯০টি বাণিজ্যিক খামার রয়েছে। এর মধ্যে আমতলীর ২১১টি খামারে ৫১৫টি গরু ও ১১১টি ছাগল এবং তালতলীর ১৭৯টি খামারে ৬০০ গরু লালন পালন হয়েছে। খামারিরা এ পশুগুলোকে খৈল, ভুসি, কুড়া ও কাচা ঘাস খাওয়াচ্ছেন। ভালো দাম পাওয়ার আশায় খামারিরা যত্মসহকারে পশু দেখাশুনা করছেন। পুরো জেলায় এ বছর ছোটবড় ব্যক্তি মালিকাধীন সহস্রাধিক খামারে পশু প্রতিপালন করা হয়েছে।
আমতলীর জাহানারা ডেইরি ফার্ম ৫৫টি গরুর পরিচর্যা করছে। মোটাতাজাকরণের জন্য খৈল, ভুষি, কুড়া ও কাঁচা ঘাস খাওয়ানো হচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
খামারের মালিক মো. হাবিব মিয়া জানিয়েছেন, তার খামারে কোরবানির উপযোগী ৭টি গরু রয়েছে। প্রতিটি গরুর মূল্য দুই লাখ টাকার বেশি।
কুকুয়ার খামারি নিজাম উদ্দিন জানান, কোরবানির পশু বিক্রির উপযোগী ২৪টি গরু (বলদ) রয়েছে। পুষ্টিকর খাবার ও প্রয়োজনীয় যত্ন নিয়ে গরু মোটা তাজাকরণ করেছি। কোন ক্ষতিকর বা অবৈধ পন্থা ব্যবহার করা হয়নি।
জেলার সর্ববৃহত পশুর বাজার আমতলী পশু হাটের ইজারাদার ও ইউপি চেয়ারম্যান মোতাহার উদ্দিন মৃধা জানিয়েছেন, এ বছর কোরবানিতে জেলার মানুষের চাহিদা পূরণ করে অন্য জেলাতে গরু রপ্তানি করা যাবে।
জেলা প্রাণি স¤পদ বিভাগের কর্মকর্তা ডা. আলতাফ হোসাইন নাননু জানান, পশু খামারিরা পুষ্টিকর খাবার ও যত্ন নিয়ে গরু লালন পালন করেছেন। এখানে কোন হরমন ব্যবহার করে গরু মোটাতাজাকরণ করা হচ্ছে না। সূত্র: বাসস
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/এম