বরিশালে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে ক্ষুদ্র চাষিদের জন্য কৃষি সহায়ক প্রকল্প’র রিভিউ ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত

302

[su_slider source=”media: 4533,4534,4535″ title=”no” pages=”no”] [/su_slider]

বরিশাল থেকে বিশেষ প্রতিনিধি: বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে ক্ষুদ্র চাষিদের জন্য কৃষি সহায়ক প্রকল্প আয়োজিত দিনব্যাপি এক রিভিউ ওয়ার্কশপ আজ (০৬ মে) বরিশালের সাগরদিস্থ ব্রি’র সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) উপপরিচালক রমেন্দ্র নাথ বাড়ৈর সভাপতিত্বে এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পরিচালক মো. ওমর আলী শেখ।

প্রধান অতিথি তাঁর বক্তৃতায় বলেন, বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের অংশ হিসেবে এ প্রকল্প দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ৫৮টি উপজেলায় চলমান আছে। কৃষিকাজের মাধ্যমে এ অঞ্চলের ক্ষুদ্র চাষিদের অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন করাই এর মূল উদ্দেশ্য। প্রকল্প হতে যেসব সুবিধা চাষিদের দেয়া হচ্ছে, তা যেনো সুষ্ঠু ব্যবহার হয় সেদিক অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। তিনি আরো বলেন, জমি থেকে আশানুরূপ ফলন পেতে মাটির স্বাস্থ্য রক্ষা করা বাঞ্ছনীয়। তাই জৈব-অজৈব সারের সুষম ব্যবহার, শস্য পর্যায় এসব বিষয়ে অধিক গুরুত্ব দিতে হবে। চাষিদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, কৃষিতে আরো এগিয়ে যান, আমরা পাশেই আছি। আপনাদের সহায়তা করার বিনিময়ে আমরা বেতন-ভাতা পাচ্ছি। তাই প্রযুক্তিগত যে কোনো সমস্যা সমাধানে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। সভাপতি তাঁর বক্তৃতায় বলেন, গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে এলজিইডির ভূমিকা অনন্য। যেহেতু তারা এ প্রকল্পের অংশীদার। তাই বিপণনের ক্ষেত্রে কৃষকের উৎপাদিত পণ্য দ্রুত পৌঁছাতে মানসম্পন্ন রাস্তা নির্মাণ জরুরি। বিষয়টি গুরুত্বের সহিত দেখার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অনুরোধ জানান। প্রকল্পের সিনিয়র মনিটরিং অফিসার আলমগীর বিশ্বাসের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রকল্পের কনসালটেন্ট ড. আ. মালেক তালুকদার, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ হোসেন, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) উপপরিচালক ড. একেএম মিজানুর রহমান, এলজিইডির সিনিয়র এসিসটেন্ট ইঞ্জিনিয়র মো. রাশেক খান প্রমুখ। কর্মশালায় প্রকল্পের চলমান কার্যক্রম পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে উপস্থাপনের পাশাপাশি ভবিষ্যত কর্মপরিকল্পনার ওপর বিস্তারিত আলোচনা হয়। এতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, এলজিইডি, ব্রি, বারি, কৃষি তথ্য সার্ভিস, বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সি, বিএডিসি এবং কৃষক প্রতিনিধিসহ ৬০ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।