বর্ষাকালে মুরগির যত্নে যা করবেন

408

বর্ষাকালে মুরগির খামার ব্যবস্থাপনায় করণীয় কি সে বিষয়ে আমাদের দেশের অনেক খামারিরাই জানেন না। ঋতুভেদে মুরগির খামারে বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয়। বর্ষাকালেও মুরগির খামারে তেমনি বেশ কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয়। তা না হলে খামারে বিভিন্ন প্রকার সমস্যার দেখা দিতে পারে। আজকের লেখায় আমরা জানবো বর্ষাকালে মুরগির খামার ব্যবস্থাপনায় করণীয় সম্পর্কে-

বর্ষাকালে মুরগির খামার ব্যবস্থাপনায় করণীয়ঃ
বর্ষার সময়ে মুরগি পালনে বেশ কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তাই এই সময়ে মুরগির খামার ব্যবস্থাপনায় বেশ কিছু কাজ করতে হয়। নিয়ে ব্যবস্থাপনাগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হল-

১। বর্ষায় মুরগির খাদ্য ব্যবস্থাপনাঃ

বর্ষাকালে মুরগির খামারে খাদ্যের পাত্রে অল্প অল্প করে খাদ্য প্রদান করতে হবে। খাদ্য বেশি করে দিলে বেশী সময় ধরে থাকবে ফলে খাদ্যগুলো বেশী পরিমাণে আদ্রতা শোষন করবে এবং গুনগত মান কমতে থাকবে। খাবার দেয়ার পর বস্তায় খাদ্য থাকলে প্রথমে ভিতরের পলিব্যাগ ভাল করে বন্ধ করে দিতে হবে এবং পরে বাহিরের ব্যাগও ভালোভাবে বন্ধ করে দিতে হবে।

২। বর্ষাকালে মুরগির লিটার ব্যবস্থাপনাঃ

বর্ষার সময়ে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমান বেশী থাকায় ফলে লিটার ভিজে যেতে পারে। ভেজা লিটার থেকে বিভিন্ন প্রকার রোগ ব্যাধি ছড়িয়ে পড়তে পারে। কোন কোন সময় শেডের তলা ভিজে গিয়ে লিটারও ভিজিয়ে দেয়, এসবক্ষেত্রে সাময়িকভাবে ফ্লোরের উপর ত্রিপল বা পলিথিন দিয়ে তার উপর লিটার দিয়ে মুরগী পালন করা যায়। এসময় লিটারে অনেকেই চুন ব্যবহার করেন কিন্তু এটা একটা ভূল কাজ, কারন চুন প্রথমে লিটারের পানি শোষন করে নেয় এবং পরবর্তীতে বাতাসের জলীয়বাষ্প থেকে পানি নিয়ে লিটার আরও বেশী ভিজিয়ে দেয়। এতে লিটার থেকে রোগ ছড়াতে পারে। তাই এ সময়ে মুরগির লিটার ব্যবহারে সতর্ক হতে হবে।

৩। বর্ষাকালে মুরগির পানি ব্যবস্থাপনাঃ

বর্ষাকালে মুরগির খামারে প্রদান করা পানি অবশ্যই জীবাণুমুক্ত হতে হবে। এসময় পরিবেশে রোগ জীবাণু বেড়ে যায় এবং পানিবাহিত ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ বাড়ে। তাই এ সময় মুরগিকে বিশুদ্ধ ও জীবাণুমুক্ত পানি সরবরাহ করতে হবে।

৪। বর্ষার সময়ে খাদ্যের ব্যাগ সব সময় উচু স্থানে রাখতে হবে। মাটিতে ব্যাগ রাখলে আদ্রতা শোষন করে খাদ্য নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

৫। এ সময়ে কোন কারণে মুরগী মারা গেলে সরাসরি রেজিস্ট্যার্ড ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। রোগজীবাণু পানির মাধ্যমে খুব দ্রুত ছড়ায়। তাই মৃত মুরগী যেখানে সেখানে না ফেলে মাটিতে পুতে ফেলতে হবে।

ফার্মসএন্ডফার্মার/ ২১ জুন ২০২১