বাছুরের জন্য খুবই মারাত্মক একটি রোগ কাফ ডিপথেরিয়া। সাধারণত ৩ মাসের কম বয়সী বাছুরের মুখে তীব্র আকারে সংক্রমণের ফলে রোগটি দেখা যায়। তবে ভিন্ন আকারে কখনো কখনো ৩ মাসের অধিক বয়সের বাছুরের শ্বাসতন্ত্রে রোগটি হয়ে থাকে।
রোগের কারণ:
মূলত এটি ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ। রোগটির জন্য দায়ি ফিউজোব্যাকটেরিয়াম নেক্রোফোরাম (ঋঁংড়নধপঃবৎরঁস হবপৎড়ঢ়যড়ৎঁস) নামক এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া।
কাফ ডিপথেরিয়া রোগের লক্ষণ:
রোগটি ৩ মাসের কম বয়সী বাছুরের মুখে হলে যেসব লক্ষণ দেখা যাবে তা হলো রোগের প্রাথমিক অবস্থায় মুখমন্ডল ফুলে যায়, কিন্তু দেহের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকে। জটিল অবস্থায় দেহের তাপমাত্রা বেড়ে যায় ও কাশি, দুর্বলতা, ক্ষুধামন্দা, শ্বাস কষ্ট, চর্বণ ও গলধঃকরণ কষ্টকর হয়। কখনো জিহ্বা, তালুতে ঘা দেখা যায় এবং নিউমোনিয়া হতে পারে।
কাফ ডিপথেরিয়া হলে ৩ মাসের অধিক বয়সী বাছুরের শ্বাসতন্ত্রে যেসব সমস্যা দেখা দেয়
১. পাতলা ও ব্যথাযুক্ত কাশি হয়।
২. দেহের তাপমাত্রা বেড়ে যায়।
৩. ক্ষুধামন্দা ও দুর্বলতা দেখা যায়
৪. শ্বাস কষ্ট, চর্বণ ও গলধঃকরণ কষ্ট সাধ্য হয়।
৫. কখনো কখনো নিউমোনিয়া হতে পারে।
চিকিৎসা পদ্ধতি:
যত দ্রম্নত সম্ভব চিকিৎসা করালে ভালো ফল পাওয়া যায়। নিকটস্থ ভেটেরিনারি চিকিৎসকের পরামর্শ ক্রমে ব্যথানাশক ইনজেকশন প্রয়োগ করলে সুফল পাওয়া যাবে।
একজন খামারিকে অবশ্যই প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে।
খামারে সদ্যজাত বাছুর থেকে শুরু করে প্রাপ্ত বয়স্ক বাছুরের খাবারপাত্র, পানিরপাত্র নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে।
খামারিকে খেয়াল রাখতে হবে বাছুরের মুখের অভ্যন্তরে কোনো রকম কাটাছেঁড়া আছে কিনা। প্রয়োজনে নিয়মিত পরীখহা করে দেখতে হবে।
বাছুরের মুখ মণ্ডল জীবাণুনাশক দিয়ে নিয়মিত পরিষ্কার করে দিতে হবে।
যত দ্রুত সম্ভব কাফ দিপথেরিয়া রোগে আক্রান্ত গরুর বাছুরকে আলাদা করে রাখতে হবে।
মনে রাখতে হবে গাভী, বাছুরসহ প্রাণির যে কোনো রোগ বালাই হতে দূরে থাকতে দরকার সচেতনতা। আর রোগ হলে অবশ্যই পাশের প্রাণিসম্পদ অফিসে প্রথমে গিয়ে পরামর্শ নিতে হবে।
ফার্মসএন্ডফার্মার/৬মার্চ২০২১