বাজারে স্বস্তি দিচ্ছে শীতকালীন সবজি

69

নিত্যপণ্যের অসহীয় পরিস্থিতির মধ্যে স্বস্তি মিলছে সবজির বাজারে। হরেক রকমের শীতের সবজি আসায় সপ্তাহের ব্যবধানে দাম কমেছে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত। এছাড়া গত সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা কমেছে আলু, পেঁয়াজ, মাছ, মাংসের দামও।

মাসখানেক আগে বাজারে যেখানে ৭০ থেকে ১০০ টাকায় বেশির ভাগ সবজি বিক্রি হচ্ছিল, এখন দামে স্বস্তি ফেরায় স্বাচ্ছন্দ্যে কেনাকাটা করছেন ক্রেতারা। আজ সকালে রাজধানীর কারওয়ানবাজার, মালিবাগ বাজার ও হাতিরপুর বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।

ক্রেতারা বলছেন, সাধারণত আমাদের দেশে শীতের সময় সবজির দাম কম থাকে। শীত আসতে শুরু করায় বাজারে স্বস্তি ফিরেছে। দাম কমছে প্রায় সব ধরনের সবজির। গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত দাম কমেছে। বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে শীতের সবজির সরবরাহ বেড়েছে। অন্যদিকে হরতাল-অবরোধে বাজারে ক্রেতাও কমেছে। সে জন্য সবকিছুর দাম ক্রেতাদের নাগালেই মধ্যেই রয়েছে।

সরজমিনে দেখা যায়, প্রতি কেজি পটল ৩০ থেকে ৪০ টাকা, আলু ৫০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, বেগুন ৪০ থেকে ৫০ টাকা, করলা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, মুলা ৩০ টাকা, শসা ৩০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৪০ টাকা, কচুর লতি ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, পেঁয়াজপাতা ৫০ টাকা, শিম ৩৫ থেকে ৪০ টাকা এবং বরবটি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

প্রতি পিস ফুলকপি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, বাঁধাকপি ৩০ থেকে ৪০ টাকা ও লাউ ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মুলা শাক এবং পালং শাক ১০ থেকে ১৫ টাকা এবং লাউ শাক ২০ থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কারওয়ান বাজারে ফয়সাল নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘কিছুদিন আগেও ৭০-৮০ টাকার নিচে পেপে ছাড়া কোনো সবজিই পাওয়া যেত। এখন শীতকালীন সবজিতে বাজার ভরপুর, যার কারণে কমতে শুরু করেছে দাম। তবে টমেটোসহ দু-একটি সবজির দাম এখনও উল্লেখযোগ্য হারে কমেনি।’

তপন দাশ নামে আরেক ক্রেতা বলেন, ‘গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে সবজির দাম ১০ থেকে ২০ টাকা কমেছে। সামনে আরও কমবে বলে মনে হচ্ছে। সবজির দাম কমায় স্বস্তিতে আমাদের মতো সাধারণ ক্রেতারা।’

সবজি দোকানদার আবু বক্কার বলেন, ‘মূলত শীতকালীন সবজির সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় দাম কমতে শুরু করেছে। ১০০ টাকা কেজির ওপরে বিক্রি হওয়া করলা-বরবটি এখন ৪০-৫০ টাকায় নেমে এসেছে। আগামী সপ্তাহে সব ধরনের শাক-সবজির দাম আরও কমবে বলে জানান এই ব্যবসায়ী।

রাজু নামের আরেক সবজি বিক্রেতা বলেন, ‘দেশে শীত আসতে শুরু করায় বাজারে শীতকালীন সবজির জোগান বেড়েছে। এছাড়া হরতাল-অবরোধে বাজারে ক্রেতাও কমেছে। সে জন্য সবকিছুর দাম ক্রেতাদের নাগালেই মধ্যেই রয়েছে।’