বাণিজ্যিক খামারে মুরগির জৈব নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা

811

madrid-poultry

বাণিজ্যিক লেয়ার বা ব্রয়লার খামার একটি লাভজনক শিল্প হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ছোট খামারগুলো দেশের মহিলা ও যুব সম্প্রদায়ের জন্য লাভজনক একটি পেশা হিসাবে দেখা দিয়েছে। তবে, মারাত্নক কিছুরোগ লাভজনক মোরগ মুরগি পালনের জন্য বড় বাধা হিসাবে কাজ করছে যা আকাংখিত মাত্রার উৎপাদনকে হ্রাস করছে। ভাল জৈব নিরাপত্তা ব্যবস্থা সংক্রামক রোগ প্রতিরোধের জন্য একটি পূর্বশর্ত। জৈব নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা হল সমন্বিত খামার ব্যবস্থাপনার একটি অংশ যা অবশ্যই রোগ জীবাণুর বিস্তারের সম্ভাবনাকে হ্রাস করে।

মানসম্পন্ন খাদ্য ও পানি:

প্রস্তুতকৃত খাদ্য যেন গুনগতমানসম্পন্ন হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। খাদ্য পরিচ্ছন্ন পরিবেশে ভালোভাবে সংরক্ষণ করতে হবে। আদ্র ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সংরক্ষণ করলে খাদ্যে মাইকোটক্সিন উৎপন্ন হতে পারে। সেই সাথে অন্যান্য জীবাণু যেমন, সালমোনেলা, ই কলাই, ককসিডিয়া ইত্যাদির সংক্রমণ হতে পারে। খাদ্য ও পানির পাত্র যেন মুরগির পায়খানা দ্বারা দুষিত না হতে পারে তার জন্য মুরগির উচ্চতা অনুযায়ী উপরের দিকে থেকে পাত্র ঝুলিয়ে দিতে হবে। খাদ্য ও পানির পাত্র নিয়মিত পরিস্কার করতে হবে।

স্বাস্থ্যকর পরিবেশে সংরখন:

স্বাস্থকর পরিবেশে ব্যবস্থাপনা পোল্ট্রি উৎপাদন ও রোগ নিয়ন্ত্রনের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। স্বাস্থকর পরিবেশে ব্যবস্থাপনা কঠিন ও ব্যয়বহুল নয়। নিচের বিষয়গুলো মেনে চললে সহজেই স্বাস্থ্যকরভাবে পরিবেশ সংরক্ষন করা যায়।

নিয়মিত পরিস্কার পরিছন্নকরণ:

মুরগির খামারের শ্রমিকরা প্রতিদিন পরিস্কার পরিছন্ন হয়ে এবং হাত পা জীবাণুমুক্ত করে শেডে প্রবেশ করবে। প্রথমে অসুস্থ ও মরা মুরগি দ্রুত সরিয়ে ফেলবে এবং নিয়মিত মুরগির বিষ্ঠা পরিস্কার করবে।

চলবে………

সূত্রে: বিএলআরআই