কৃষিবিদ মো. আব্দুল্লাহ-হিল-কাফি, নাটোর থেকে: নাটোরের চলন বিলাঞ্চলে ‘সাদা সোনা’ খ্যাত রসুন তোলা শেষ। চলতি মৌসুমে রসুনের আকার ও গুণগতমান ভালো হওয়ায় এবার ফলন এবং দাম দু’টিই সন্তোষজনক। চলতি মৌসুমে নাটোর জেলায় প্রায় ২৫ হাজার হেক্টর জমিতে এ পদ্ধতিতে রসুন চাষ হয়। এবার তেমন কোন প্রকৃতিক দুর্যোগ নাথাকায় এবং কৃষি বিভাগের পরামর্শে কৃষকের আশাতিত ফলন পেয়েছে। এখন কৃষাণ কৃষাণীরা শুকানো এবং বাজারজাতকরণের কাজে ব্যস্তসময় পার করছে। নাটোরস্থ গুদাশপুরের উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আবদুল করিম জানান, বন্যার পানি নেমে গেলে জমির আগাছা পরিষ্কার করে রসুনের কোয়া রোপণ করা হয়। পরবর্তীতে ধানের খড় দ্বারা জাবড়া বা মালচিং করা হয়। প্রয়োজনবোধে সেচ দেওয়া হয়। এভাবে বিনা চাষে রসুন উৎপাদন করা যায় এবং উৎপাদন খরচ তুলনামুলকভাবে অনেককম। তিনি আরো জানান, প্রতি বিঘা জমিতে ২৫-৩০ কেজি টিএসপি, ২৫-৩০ কেজি এম ও পি এবং ১৫ কেজি জিপসাম সার ছিটানোর পর দুই একদিনের মধ্যে নরম জমিতে লাইন করে রসুন বীজ বপন করা হয়। প্রযুক্তিটি এ উপজেলায় খুবই জনপ্রিয়। চাষিরা এ বছর বিঘা প্রতি গড়ে ৪০-৪২ মণ ফলন পেয়েছে। এবার প্রতিমন আধা-ভেজা রসুন বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৮ শ’ থেকে ৩ হাজার টাকায় এবং শুকনা রসুনের কেজি হচ্ছে প্রায় ৩ হাজার ৫ শ’ থেকে ৪ হাজার টাকায়। এছাড়া সাথি ফসল হিসেবে রসুনের সাথে বাঙ্গি এবং তরমুজ চাষ করে চাষিরা বাড়তি মুনাফা পেয়েছে। এখানকার রসুন ঢাকা, চট্রগ্রাম, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বাজারজাত হচ্ছে। মসলা উৎপাদনের এ চিত্র বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য কল্যাণকর।